নিউজ শর্ট ডেস্ক: বাড়িতে থাকা বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি (Electric Machine) থেকে মাঝেমধ্যেই ঘটে যায় বড়সড় বিপদ। অনেক সময় এই কারণেই খালি মেঝেতে পা রেখে ল্যাপটপ, টিভি,ওয়াশিং মেশিন,কিংবা ফ্রিজ স্পর্শ করলে অনেকেই হালকা কারেন্টের শক পেয়ে থাকেন। এর পিছনে থাকা অন্যতম কারণ হলো ঘরের আর্থিং (Earthing) না করানো।
বাড়িতে যখনই ওয়ারিং করানো হবে সেই সময়েই আর্থিং করিয়ে নেওয়া উচিত। ঘরে আর্থিং করানো থাকলে যদি কোন বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতিতে ত্রুটিও হয় থাকে তাহলে কারেন্ট মাটির ভিতরে চলে যায়। তাই এমন পরিস্থিতিতে মাটিতে দাঁড়িয়ে এই সমস্ত ইলেকট্রিক ডিভাইস স্পর্শ করা হলেও কেউ শক অনুভব করেন না।
সাধারণত যখনই একটি বৈদ্যুতিক যন্ত্রের ত্রুটি তৈরি হয় তখন বাইরে থেকেই কারেন্ট প্রবাহিত হতে থাকে। তাই এই পরিস্থিতিতে যদি কেউ ভুলবশত যন্ত্রটিকে স্পর্শ করে ফেলেন তাহলে তিনি ভয়ানক ইলেকট্রিক শক পেতে পারেন। এমনকি এর ফলে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
যে সমস্ত ইলেকট্রিক যন্ত্রপাতিতে বেশি কারেন্ট পোড়ে অর্থাৎ ভারী ভোল্টেজ ইকুইপমেন্টের ক্ষেত্রে মেইন তার এসির বডি স্পর্শ করা তারের কানেকশন ঢিলা হয়ে গেলে মেটাল বডি দিয়ে কারেন্ট প্রবাহিত হয়। এমন পরিস্থিতিতে সাবধান হওয়া জরুরি। কারণ এই সময় যে কেউ শক পেতে পারেন।
আরও পড়ুন: গাড়িতে টানা ১ ঘণ্টা এসি চালালে কত খরচ হয় জানেন? জানলে ঘুম উড়বে রাতের
অর্থাৎ মুহূর্তের ভুলেই ঘটে যেতে পারে বড় দুর্ঘটনা। তাই এই ধরনের দুর্ঘটনার হাত থেকে বাঁচার জন্য বাড়িতে যখনই এসি বা কোন বৈদ্যুতিক যন্ত্র বসানো হবে তার আগেই আর্থিং করিয়ে নেয়া উচিত। এই কারণে অনেকেই বাড়ির ওয়ারিং করানোর সময়েই একেবারে আর্থিং করিয়ে নিয়ে থাকেন।
এর ফলে আচমকা কোনো দুর্ঘটনা ঘটলেও বিপদের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। তাছাড়া আর্থিং করানোর খরচ-ও খুবই কম হয়ে থাকে। এখানে বলে রাখি আর্থিং মূলত চার প্রকারের হয়ে থাকে। যার মধ্যে রয়েছে বার, প্লেট,পাইপ এবং স্ট্রিপ আর্থিং। তবে যার যেমন সুবিধা সে নিজের প্রয়োজন কিংবা সুবিধা অনুযায়ী যে কোন ভাবে আর্থিং করাতে পারেন। তবে সবসময় একজন প্রশিক্ষিত ইলেকট্রিশিয়নের পরামর্শ নিয়েই আর্থিং করানো উচিত।