নিউজশর্ট ডেস্কঃ সামনেই আসছে অক্ষয় তৃতীয়া। এই সময় বহু মানুষ সোনা কিনে থাকে। এছাড়া এখন যেহেতু বিয়ের মরসুম চলছে তাই অনেকেই সোনা(Gold Price) কিনছেন। আগে যে কোন জিনিস কেনার আগে ওত খুঁটিয়ে দেখা হতো না। কিন্তু এখন মানুষ অনেক বেশি সচেতন। তাই সমস্ত জিনিস পর্যবেক্ষণ করে তবেই ক্রয় করে।
এমনিতেই সোনা কেনার সময় মেকিং ফি(Making Charges) কথাটা বিশেষ ভাবে শোনা যায়। আসলে যখন কেউ সোনা কিনতে যাবে তখন এই সোনা তৈরির চার্জ সম্পর্কে আগে থেকে জানতে হবে। যাতে সোনা কিনতে কোন রকমের সমস্যা না হয়। সোনা কিনতে কত খরচ করা হয় এবং কিভাবে এটি হিসাব করা হয় আর সেই সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আজকের এই প্রতিবেদনে আপনাদেরকে জানাবো। যাতে করে আপনারা মেকিং চার্জ সম্পর্কে কিছু জিনিস জেনে নিতে পারেন।
মেকিং চার্জ কি? আসলে সোনা কিলো আকারে বাইরে থেকে আসে। এরপর সেই সোনা গলিয়ে তার ওপর কারুকার্য করে সোনার ডিজাইন করা হয়। সোনাকে বিভিন্ন আকারে ঢালাই করে আংটি, নেকলেস, হাতের চুড়ি সমস্ত কিছু তৈরি করা হয়। এছাড়া বিভিন্ন গয়নার বিভিন্ন রকমের ডিজাইন রয়েছে। অনেক গয়নার জটিল কারুকার্য থাকে যেগুলো তৈরি করতে অনেক সময়ের প্রয়োজন হয়।
আরও পড়ুন: Mukesh Ambani: খারাপ দশা আম্বানির! একদিনে ডুবল ৪৩ হাজার কোটি টাকা, কারণ চমকে দেবে
তাই যে কোন সোনা থেকে গয়না তৈরি করতে যে খরচ হয় তাকেই গয়নার মেকিং চার্জ বলে অর্থাৎ মোটামুটি কারিগরের পারিশ্রমিককে মেকিং চার্জ হিসেবে ধরা হয়। গয়না ছাড়া যদি কয়েন কিংবা শুধুমাত্র সোনা কেনা হয় তাহলে কোন মেকিং চার্জ লাগেনা।
কেউ যখন কোন গয়না কিনবেন সেটির উপর মেকিং চার্জ থাকে। এই মেকিং চার্জ গয়না এবং তার ডিজাইনের উপর নির্ভর করে। অর্থাৎ কোন গয়নার ডিজাইন যদি জটিল থাকে তাহলে সেক্ষেত্রে মেকিং চার্জ বেশি হয়। এই মেকিং চার্জ যে কোন সোনার দামের ৫ থেকে ১০ শতাংশের মধ্যে থাকে।
এই মেকিং চার্জ কিভাবে গণনা করা হয় সেটা আগে জানতে হবে। বাজারে পাওয়া গয়নার দাম আসলে সোনার দামের থেকে বেশি হয়। মেকিং চার্জ সমস্ত জুয়েলার্স গুলো যেমন দাম নেয় সেই দামের উপর নির্ভর করে। ধরুন কেউ যদি একটি সোনার চেইন ৫০০০০ টাকায় কিনে থাকে, এর ওপরে মেকিং চার্জ ১০ শতাংশ হলে এতে ৫০০০ টাকা বেশি দিতে হবে অর্থাৎ এক্ষেত্রে সোনার চেনের দাম গিয়ে দাঁড়াবে ৫৫ হাজার টাকা। সোনা কেনার সময় ডিজাইনে যদি খুব বেশি রকমের জটিলতা না থাকে তাহলে মেকিং চার্জ অনেক কম হয়। তাই সাধারণ ডিজাইনের গয়না ক্রয় করলে মেকিং চার্জ অনেক কম হবে।