নিউজ শর্ট ডেস্ক: মদ্যপান (Drink Alcohol) স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক (Bad For Health)। কিন্তু তারপর সুরা প্রেমীরা কিছুতেই উপেক্ষা করতে পারেন না এই মদের আকর্ষণ।তাই সেই প্রাচীন যুগ থেকেই মদ্যপানে অভ্যস্ত অসংখ্য মানুষ। কিন্তু অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগে মদ খাওয়ার পর মানুষের নেশা হয় কিভাবে।
আসলে মদ্যপান করার পর তা কয়েকটি ধাপে ধাপে দ্রুত মিশে যায় রক্তে এবং সেখান থেকেই পৌঁছায় শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলিতে।মদ পান করা হলে প্রথমেই তার দ্বারা আক্রান্ত হয় মস্তিষ্ক। তারপর একে একে আক্রান্ত হয় লিভার, কিডনি, ফুসফুস। প্রসঙ্গত সামান্য পরিমাণ মদ খেলে তা খিদে বাড়িয়ে দিলেও বেশি মাত্রায় মদ খেলে কিন্তু খিদে মরে যায়।
মদ স্টোমাকে প্রবেশ করার পর সেখান থেকে সরাসরি যায় ইনটেস্টাইনে। এই স্টোমাক ও স্মল ইনটেস্টাইনের উপরের অংশেই শোষিত হয় বেশ ভাল পরিমাণ মদ। তারপর সেই মদ লিভারে পৌঁছানোর পর সেখানেই মেটাবলিজম হয় অ্যালকোহলের।
বেশ কিছু এনজাইম আছে যা অ্যালকোহলকে ভেঙে দেয় অ্যাসিট্যালডিহাইড আর তারপর অ্যাসিটেট-এ। এরপর অ্যালকোহল থেকে তৈরি হয় কার্বন ডি-অক্সাইড ও জল। সবশেষে ঘাম ও প্রস্রাবের মধ্যে দিয়েই মদ বেরিয়ে যায় শরীর থেকে। তবে অ্যালকোহলের মেটাবলিজম-এ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে লিভার।
আরও পড়ুন: মাত্র ৯৯ টাকাতেই ১৩ রকমের পদ! এই রেস্তোরাঁর ঠিকানা জানেন তো?
ইতিপূর্বে একাধিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, কেউ যদি প্রতিদিন ৩০ গ্রাম বা ৩০ মিলিলিটারের বেশি মদ্যপান করেন লিভারের ক্ষতি হওয়ার ঝুঁকি থাকে। কেউ যদি রোজ ৮০ গ্রাম বা ৮০ মিলিলিটারের বেশি মদ খায় তাহলে তার লিভারের ক্ষতি হওয়া অনিবার্য।
অত্যধিক মদ্যপান করলে স্টোমাক ও ইনটেস্টাইনের লাইনিং-এ প্রদাহ সৃষ্টি হয়। এরফলে অত্যাধিক অ্যাসিড তৈরি হয়। যা আলসার কিংবা গ্যাসট্রাইটিস-এর ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে ।শুধু তাই নয় যাঁরা অনেকদিন ধরেই নিয়মিত মদের নেশা করছেন, তাঁদেরও প্যানক্রিয়াস ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বেশি মদ খেলে সেন্ট্রাল নার্ভাস সিস্টেমে প্রভাব পড়ে। অতিরিক্ত মদ্যপান মস্তিষ্কের নিউরোট্রান্সমিটারের কাজ করার ক্ষমতা কমিয়ে দেয়।
আরও পড়ুন: শুনতে অবিশ্বাস্য লাগলেও সত্যি! এবার জামাতে লাগিয়ে ঘুরে বেড়ান Sony’র এই ঠান্ডা ঠান্ডা AC
এখন প্রশ্ন হল শরীর ছেড়ে অ্যালকোহলের বার হয়ে যেতে কতক্ষণ লাগে? সাধারণত এক গ্লাস মদ মেটাবোলাইজ করতে লিভার সময় নেয় ১ ঘণ্টা। তবে এই অনুপাত নির্ভর করে লিঙ্গ, ওজন, বেসাল মেটাবলিজম রেট-এর উপর।
কেউ মদ্যপান করেছেন কিনা তা জানার জন্য অনেক সময় ইউরিন টেস্ট করা হয়।কেউ মদ খেলে তা ১২ ঘণ্টা পর পর্যন্ত সাধারণ ইউরিন টেস্ট-এ ধরা পড়ে। যদি এখনকার অত্যাধুনিক ইউরিন টেস্টে মদ্যপানের ২৪ ঘণ্টা পর পর্যন্ত-ও অ্যালকোহল ধরা পড়ে। এছাড়া ৪-৬ ঘণ্টার মধ্যে নিশ্বাস পরীক্ষা করলেও শরীরে অ্যালকোহল আছে কিনা তা পরীক্ষা করা যায়।