নিউজশর্ট ডেস্কঃ এই গরমে তীব্রতার হাত থেকে বাঁচার জন্য পর্যটকেরা সমতলে না থেকে পাহাড়ে যেতে বেশি পছন্দ করেন। পাহাড় বলতে এখন দার্জিলিং-এ প্রচুর ভিড়। যার ফলে এখন দার্জিলিঙে যেতে গেলে অন্য সময়ের তুলনায় প্রচুর টাকা খরচ হবে। তবে দার্জিলিংয়ের পাহাড় যেমন একেবারেই জমজমাট ঠিক অন্যদিকে পুরুলিয়ার(Purulia) অযোধ্যা পাহাড়(Ajodhya Hills) একেবারে ফাঁকা। এর কারণ এই সময় পুরুলিয়াতে গরমের তীব্রতা অনেক বেশি থাকে .তাই পর্যটকেরা এই জায়গায় যেতে পছন্দ করেন না।
এর পাশাপাশি পুরুলিয়াতে জল সংকট দেখা যায়। তবুও পর্যটকদের আকৃষ্ট করার জন্য পুরুলিয়ার বেশ কয়েকটি রিসোর্ট এবার সামার মেনু নিয়ে নতুন চমক আনা হয়েছে। দার্জিলিং-এর এই সময় যেহেতু ঠান্ডা মনোরম আবহাওয়া থাকে। তাই পর্যটকেরা যেতে পছন্দ করে। কিন্তু অন্যদিকে অযোধ্যা পাহাড়ে এই সময় গরমে ফাঁকা থাকে। এই সময় যেহেতু গরমের ছুটি পড়ে যায় তাই স্কুল কলেজ সব জায়গাতেই ছুটি থাকার জন্য উত্তরবঙ্গে বিভিন্ন রকমের পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে পর্যটকদের ভিড় থাকে।
তবে পুরুলিয়ার অযোধ্যা পাহাড়ে মার্চ মাসের শেষ পর্যন্ত যখন লাল পলাশ ছিল সেই সময় পর্যন্ত প্রচুর পর্যটকদের ভিড় ছিল। এমনকি দোল হোলিতে থাকার জায়গা ছিল না। তবে এখন সেই চিত্রও বদলে গেছে। পর্যটকদের আকৃষ্ট করার জন্য নানা রকমের অফার নিয়ে আসা হচ্ছে। তবুও এই গরমের জন্য কেউ আর পুরুলিয়ায় যেতে চাইছেন না। পুরুলিয়ার অযোধ্যা পাহাড়ের একটি বেসরকারি পর্যটন সংস্থার কর্ণধার জানিয়েছেন যে বিগত বছরেও পুরুলিয়ার পর্যটকের সংখ্যা এত কম ছিল না।
আরও পড়ুন: PNB: এবার PNB-র গ্রাহকদের মাথায় হাত, একমাস পরে বন্ধ হয়ে যাবে প্রচুর অ্যাকাউন্ট!
গরমে তাপমাত্রা থাকা সত্বেও অন্যান্য বছর অল্প হলেও পর্যটক থাকেন কিন্তু এইবারে পাহাড়ের চরিত্র একেবারে বদলে গিয়েছে। তাই পর্যটক নেই বললেই চলে। আগে দিনের বেলায় তাপমাত্রা থাকলে রাতের বেলায় মনোরম পরিবেশ থাকতো তাই পর্যটকেরা দিনের বেলায় হোটেলের ভেতরে থাকলেও রাতেই মনোরম পরিবেশ উপলব্ধি করতে পারতেন। তবে এবার প্রচন্ড গরমের জন্য ইতিমধ্যে জল সংকট দেখা গিয়েছে। যার ফলে বহু হোমস্টে, পর্যটন সংস্থা, অযোধ্যা পাহাড় প্রকল্পের অতিথি আবাসের দরজা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। জল সংকটের জন্য অনলাইন বুকিং বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
তবে অযোধ্যা পাহাড়তলির মাঠা ও হিল টপে চারতারা হোটেল কর্তৃপক্ষ গুলো পর্যটক টানার জন্য স্পেশাল কিছু মেনু চালু করেছে। যে তালিকায় রয়েছে পুদিনা ঠান্ডাই, আমপোড়া শরবত, লাউকি সবজা। এছাড়া মেইন কোর্সে পেয়ে যাবেন বড়ি ভাতে, কাঁচা মিঠা আম কাসুন্দি স্যালাড, লাউ কাচকলা ভাজা, কচি বেগুন পেঁয়াজ পোস্ত, কুমড়ো ভাপা জেলি, আম আচারি রুই।