নিউজ শর্ট ডেস্ক: ভারতীয় ধনকুবের মুকেশ আম্বানিকে (Mukesh Ambani) না চেনেন! তাঁর সম্পর্কে খুঁটিনাটি যাবতীয় তথ্য সবকিছু নিয়েই ব্যাপক কৌতূহল গোটা বিশ্বের। এই তালিকা থেকে বাদ যান না মুকেশ আম্বানির আত্মীয় পরিজন কিংবা বন্ধুবান্ধবরাও। মুকেশ আম্বানির এমনই একজন প্রিয় বন্ধু হলেন আনন্দ জৈন (Anand Jain)।
এই আনন্দ জৈন আসলে কে? তা নিয়েও ব্যাপক কৌতুহল রয়েছে আমজনতার। সম্প্রতি রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিস ২০ লক্ষ কোটি টাকার মার্কেট ক্যাপ অর্জন করেছে। ভারতীয় কোম্পানি হিসাবে এই ঐতিহাসিক কৃতিত্ব অর্জন করে আরও একবার বিরাট রেকর্ড তৈরি করেছে রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ।
কোম্পানির এই গগনচুম্বী সাফল্যের পিছনে সম্পূর্ণ কৃতিত্ব রয়েছে মুকেশ আম্বানির কঠোর পরিশ্রম এবং নেতৃত্বের। কিন্তু একজন সফল লিডারের পেছনে সবসময় থাকেন একজন সত্যিকারের বিশ্বস্ত সহযোগী। মুকেশ আম্বানির এমনই একজন বিশ্বস্ত সহযোগী হলেন মনোজ মোদি। তিনি মুকেশ আম্বানি ডান হাত হিসেবেও পরিচিত।
কিন্তু মুকেশ আম্বানির আশেপাশে আরও অনেক পরিচিত ব্যক্তি রয়েছেন যারা রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিকে আলাদা গতি এনে দিয়েছে।তাঁদের মধ্যেই অন্যতম হলেন মুকেশ আম্বানির দীর্ঘদিনের বন্ধু আনন্দ জৈন। জয় কর্প লিমিটেডের চেয়ারম্যান আনন্দ মুকেশ আম্বানির খুবই কাছের বন্ধু।
আরও পড়ুন: মোদী নয়, ভারতের সবথেকে বেশি জমি কার নামে আছে? উত্তরটা চমকে দেবে
খুব ছোটবেলা থেকেই তাঁদের দুজনের মধ্যে দারুন বন্ধুত্ব। মুকেশ আম্বানি এবং আনন্দ জৈন দুজনেই মুম্বাইয়ের হিল গ্রেঞ্জ হাইস্কুলে পড়াশোনা করতেন। ১৯৮১ সালে যখন মুকেশ আম্বানি স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফিরে আসেন ততদিনে আনন্দ জৈন রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের প্রতিষ্ঠাতা ধীরুভাই আম্বানির সাথে কাজ শুরু করে দিয়েছিলেন।
এক সময় এই আনান্দ জৈন ছিলেন ভারতের ১১-তম ধনী ব্যক্তি। ২০১৭ সালে ফোর্বসের রিপোর্ট অনুযায়ী ভারতের ১১-তম ধনী ব্যক্তি হিসেবে মনোনীত হয়েছিলেন আনন্দ জৈন। সে সময় তাঁর মোট সম্পত্তির পরিমাণ ছিল প্রায় ৩৩,৫৪ কোটি টাকা। ২০১২ সাল নাগাদ তাঁর সম্পত্তির মোট মূল্য এসে দাঁড়ায় প্রায় ৪,৩৫১ কোটি টাকায়।
জয় কর্পের সফর শুরু হয়েছিল ১৯৮৫ সালে। এই কোম্পানিটি মূলত ইস্পাত উৎপাদন, প্লাস্টিক প্রক্রিয়াকরণ, সুতো কাটা রিয়েল এস্টেট উন্নয়নের ব্যবসা করত। কোম্পানির বিশেষ উদ্যোগের মধ্যে রয়েছে রিয়েল এস্টেট প্রকল্পে অংশীদারিত্ব,ভেঞ্চার ক্যাপিটাল বিনিয়োগ ইত্যাদি। এই কোম্পানির তরফে সারাদেশে মোট ১৪ টি শহরের ১৩ টি প্রকল্পে বিনিয়োগ করা হয়েছে।
রিয়েল এস্টেট ফিনান্স এবং পুঁজিবাজারে আনন জৈনের দক্ষতা তাকে রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজে সবচেয়ে মূল্যবান সদস্য পরিণত করেছে। আনন্দ মুকেশ আম্বানির কৌশলগত উপদেষ্ঠা হিসাবে কাজ করেছেন। সূত্রের খবর রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করলেও আনন্দ জৈন কোনো বেতন নেন না। তবে তিনি রিলায়েন্স ইনফোকামের তদারকি করেন এবং সেখান থেকে তিনি বেতন নিয়ে থাকেন। প্রসঙ্গত আনন্দ জৈনের ছেলে হর্ষ জৈন হলেন দেশের বৃহত্তম ফ্যান্টাসি স্পোর্টস প্লাটফর্ম ড্রিম ১১-এর প্রতিষ্ঠাতা।