নিউজশর্ট ডেস্কঃ বাংলাতে সিভিক ভলেন্টিয়াররা(Civic Volunteer) সবসময় একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকেন। সেই ২০১১ সালে রাজ্যে তৃণমূল সরকার আসার পর পুলিশ প্রশাসনের কাজে সহযোগিতার জন্য সিভিক ভলেন্টিয়ার নামক একটি পদ তৈরি করা হয়। এই সিভিক ভলেন্টিয়াররা মাসিক ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে কাজ করে থাকেন। তবে বহু সময় এই সিভিক ভলেন্টিয়ারদের নানারকমের ব্যবহার নিয়ে অভিযোগ উঠতে দেখা যায়।
এখন রাস্তাঘাটের ট্রাফিকের দায়িত্ব থেকে শুরু করে বিভিন্ন থানা এবং অফিসের গুরুত্বপূর্ণ কাজের দায়িত্ব সিভিক ভলেন্টিয়াররা সামলে থাকেন। তবে তারা কাজ সঠিকভাবে করলেও সাধারণ মানুষের সঙ্গে অনেক সময় খারাপ ব্যবহার করেন। আর এর ফলে সিভিক ভলেন্টিয়ারদের নিয়ে একগুচ্ছ অভিযোগ রয়েছে সাধারণ মানুষের। এই সিভিক ভলেন্টিয়াররা এমন কিছু কাজ করেন, যা তাদের নিজেদের আওতার বাইরে রয়েছে। এগুলোই সাধারণ মানুষ একেবারেই সহ্য করতে পারে না।
বহুদিন আগেই লেক গার্ডেন্সে এক যুবতীর গাড়ির কাগজ না থাকার জন্য সিভিক ভলেন্টিয়ারকে চড় মারতে দেখা গিয়েছে। আর সিভিক ভলেন্টিয়ারদের এই সমস্ত আচরণ হল চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজ্য সরকারের। আর সেই কারণেই এবার সরকারের তরফ থেকে নতুন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এবারে রাজ্য সরকারের নতুন ব্যবস্থা অনুযায়ী সিভিক ভলেন্টিয়ারদের কি কি করতে পারবে এবং কি কি করতে পারবে না সেই বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: Airtel: সস্তার দিন শেষ! এবার বাড়বে রিচার্জের খরচ, Airtel-র গ্রাহকদের মাথায় হাত
লালবাজারের তরফ থেকে খুব তাড়াতাড়ি এই কর্মশালার আয়োজন করা হতে চলেছে। যে কর্মশালায় যুগ্ম কমিশনার, ডেপুটি কমিশনার পদমর্যাদার অফিসাররা ক্লাস নেবেন। সেই ক্লাসে তাদের পরামর্শ দেওয়া হবে যে কিভাবে মাথা ঠান্ডা রেখে কাজ করতে হবে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এর আগেও আদালতের তরফ থেকে একাধিকবার সতর্ক করা হয়েছে এবং সেই সতর্কতার উপর ভিত্তি করে লালবাজারে তরফ থেকে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।
তবে অনেক সিভিক ভলেন্টিয়াররা দাবি করেন যে তাদের আট ঘন্টা কাজের বদলে দশ ঘন্টা কিংবা তার বেশি সময় কাজ করতে হয়। আর এইসব ক্ষেত্রে অনেক সময় তাদের মাথা গরম হয়ে যায় বলে উল্টোপাল্টা ব্যবহার চলে আসে। তবে এবার রাজ্য সরকারের তরফ থেকে যে কর্মশালার আয়োজন হতে চলেছে সেখান থেকে সিভিক ভলেন্টিয়ারদের অনেক কিছু শিক্ষনীয় বিষয় আছে বলে মনে করা হচ্ছে।