নিউজশর্ট ডেস্কঃ অর্থ বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভরসাযোগ্য প্রতিষ্ঠান হিসাবে ব্যাংক এবং পোস্ট অফিসের পর এলআইসির ওপর মানুষের নির্ভরশীলতা সবথেকে বেশি। ভারতের নির্ভরযোগ্য বৃহত্তম বীমা সংস্থা হল এলআইসি(LIC)। এই সংস্থার উপরে ভরসা দীর্ঘদিন ধরে গ্রাহকদের রয়েছে।
এই এলআইসি সমাজের সকল শ্রেণীর মানুষের সুবিধার কথা মাথায় রেখে বিভিন্ন রকমের পলিসি চালু করেছে। এখানে অল্প পয়সার বিনিয়োগের জন্য যেমন স্কিম রয়েছে। তেমনি সুযোগ আছে মোটা টাকা বিনিয়োগের স্কিমের। এখানে গ্রাহকেদের নিজেদের পছন্দ অনুযায়ী প্ল্যান নিয়ে নির্দিষ্ট সময় ধরে অর্থ বিনিয়োগ করে থাকেন এবং তারপর মেয়াদ শেষে মোটা টাকা রিটার্ন পান।
তবে এলআইসি প্রসঙ্গে গ্রাহকদের মনে একটা প্রশ্ন থাকে, এই যে প্রচুর সংখ্যক গ্রাহক এলআইসিতে বিপুল পরিমাণে অর্থ জমা করছেন। সেই টাকা গুলো কিভাবে কাজে লাগানো হয়? কিভাবে এলআইসি গ্রাহকদের টাকা থেকে আরও টাকা বাড়িয়ে মেয়াদ শেষে বিপুল অর্থ রিটার্ন দেয়?
আজকের এই প্রতিবেদনে এই সমস্ত বিষয় সম্পর্কে আপনাদেরকে জানাবো। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে যে এলআইসিতে গ্রাহকদের বিনিয়োগ করার ৬৭ শতাংশ টাকা সংস্থার তরফ থেকে বিভিন্ন বন্ডে বিনিয়োগ করা হয়। এর পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের সম্পত্তির খাতে এক লক্ষ কোটি টাকা বিনিয়োগ করে রেখেছে এলআইসি। আর বাকি সব অর্থ বিভিন্ন মিউচুয়াল ফান্ড, অন্যান্য ঋণ, সিকিউরিটিতে বিনিয়োগ করা থাকে।
এছাড়া সূত্র মারফত এটাও জানা গিয়েছে যে এলআইসিতে এনডাউমেন্ট, টার্ম ইন্সুরেন্স, পেনশন প্ল্যান, মাইক্রো ইন্সুরেন্স ইত্যাদি বিভিন্ন রকমের স্কিম মিলিয়ে মোট ২৮ থেকে ২৯ কোটি টাকার পলিসি রয়েছে। এলআইসি বিনিয়োগ প্রকল্পগুলোর জন্য গ্রাহকদের ফ্লেক্সি গ্রোথ ফান্ড এবং ফ্লেক্সি স্মার্ট গ্রোথ ফান্ড-র মধ্যে বেছে নিতে বলে। বর্তমানে এখানে প্রায় ১ লক্ষের বেশি কর্মচারী এবং ১৩ লক্ষ-এর কাছাকাছি এজেন্ট যুক্ত আছেন।