নিউজশর্ট ডেস্কঃ বর্তমান বাজারে কাজের যা অকাল তাতে আয়ের (Income) পথ খুঁজতে ছোট খাটো ব্যবসা (Small Business) শুরু করছেন। একটা ভালো ব্যবসা একবার শুরু করতে পারলে অল্প কিছু সময়ের মধ্যেই ভালো উপার্জন করা সম্ভব। এমনকি বাড়িতে খালি জায়গা থাকলে চাষ (Farming) করেও মোটা টাকা আয় করতে পারবেন।
বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে এক বিঘা জমিতে কুমড়ো চাষ (Pumpkin Farming) করতে পারলেই লক্ষ টাকা যায় করা যেতে পারে। যেমনটা গোড্ডার পাথরগামার বাসিন্দা রঞ্জিতবাবু করেছেন। জানলে অবাক হবেন জমিটি তার নিজেরও নয় বরং ভাড়াতে নিয়ে চাষ করেই লাখ টাকা আয় করেছেন তিনি। কিভাবে আপনিও এমনটা করতে পারবেন? কতটাকা খরচ সেই সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেব এই প্রতিবেদনে।
কি পদ্ধতিতে কুমড়ো চাষ করতে হবে?
প্রথমেই জমি ট্রাক্টর দিয়ে চষে নিতে হবে। এর জন্য প্রায় ৫০০০ টাকা মত খরচ হবে।এরপর কুমড়োর বীজ কিনতে হবে। এর জন্য মোটামুটি ১০০০ টাকা খরচ হবে। একইসাথে ফসল ভালো হওয়ার জন্য সার কিছু সার দিতে হবে। যার খরচ প্রায় ৫০০০ টাকা। এরপর জমিতে বাঁশ ও দড়ি দিয়ে উঁচু করে ভাড়া মত বানাতে হবে। সেক্ষেত্রে ১০-১২০০০ টাকা খরচ হবে।
কিভাবে ৩ গুণ ফলন পাওয়া সম্ভব?
সাধারণত যেভাবে চাষ করা হয় সেই পদ্ধতিতে ফলন কম হয়। তবে রঞ্জিতবাবুর মতে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে চাষ করে প্রায় তিনগুণ হয়েছে তার ফলন। আগে যেখানে প্রতিদিন ৩০-৪০টি কুমড়ো তুলতে পারতেন বিক্রির জন্য সেখানে বর্তমানে ৮০-১০০টি কুমড়ো বিক্রি করার জন্য তুলতে পারেন।
এই সাফল্যের পিছনে মূলত ভাড়া বেঁধে চাষ করাকেই দায়ী করেছেন তিনি। এপ্রিল মাস নাগাদ গাছ লাগিয়ে পরিচর্চা করতে হবে। তাহলে জুন মাস থেকেই ফল মিলবে। জুলাই মাসেই কুমড়ো তুলে বিক্রি করা যায়। মোটামুটি হিসাব করলে বছরে ২৫০০০ টাকা মত খরচ করে প্রায় এক লক্ষ টাকার উপর যায় করা যাবে।