নিউজশর্ট ডেস্কঃ রাজ্যের গরিব ও দুস্থদের জন্য একাধিক আর্থিক ও সামাজিক প্রকল্পের ব্যবস্থা করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার (Government Of West Bengal)। বিশেষ করে মহিলাদের ক্ষমতায়নে লক্ষীর কন্যাশ্রী, শিক্ষাশ্রী, লক্ষীর ভান্ডার ও যুবশ্রী, সবুজ সাথীর মত প্রকল্পে গোটা রাজ্যের কোটি কোটি মানুষ উপকৃত। ভোটের রেজাল্ট বেরোনোর আগেই লক্ষীর ভান্ডারের ভাতার পরিমাণ বৃদ্ধি করা হয়েছিল। এবার ‘বার্ধক্য ভাতা’ (Old Age Pension) নিয়ে বড় ঘোষণা করল রাজ্য সরকার।
বার্ধক্য ভাতা কি ?
৬০ বছর বয়স হলে মহিলা হোক বা পুরুষ সকলেরই কর্মক্ষমতা কমতে থাকে। তাই তাদের যাতে আর্থিক কোনো অসুবিধা না হয় তাই সরকারের তরফ থেকে ককিহুটা টাকা অধিক সাহায্য করার জন্য ‘বার্ধক্য ভাতা’ চালু করা হয়। সাধারণত ৬০ বছর হলে এই প্রকল্পের জন্য আবেদন করা যায়। তবে কিছু বিশেষ ক্ষেত্রে ৫৫ বছর বয়স হলেও আবেদন করা যেতে পারে।
বার্ধক্য ভাতা নিয়ে বড় ঘোষণা
সম্প্রতি ‘বার্ধক্য ভাতা’ প্রকল্প নিয়ে নতুন কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। যার ফলে আরও ৫০,০০০ মানুষের নাম নথিভুক্ত হতে চলেছে। জানা যাচ্ছে, ইতিমধ্যেই নাকি নাম তোলার কাজ সরকারিভাবে শুরু করে দেওয়া হয়েছে। কয়েক মাসের মধ্যে কাজ শেষ হলেই সরাসরি ব্যাঙ্কে টাকা পৌঁছে যাবে।
আরও জানা যাচ্ছে, বর্তমানে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে বার্ধক্য ভাতা হিসাবে ২০০টাকা প্রতিমাসে দেওয়া হয় ৬০ থেকে ৮০ বছরের মানুষদের জন্য। বাকি টাকা দেয় রাজ্য সরকার, যার দরুন খরচ হয় প্রায় ১৫০ কোটি টাকা।
কিভাবে বার্ধক্য ভাতার জন্য আবেদন করা যায়?
মূলত ‘দুয়ারে সরকার’ এর ক্যাম্পের মাধ্যমেই বার্ধক্য ভাতার আবেদন করা যায়। তবে ভোটের কারণে বহুদিন দুয়ারে সরকারের ক্যাম্প হয়নি। তাই আপনি যদি আবেদন করতে চান থামলে আগামী দিনে নতুন ডেট দিলে তখন গিয়ে ফর্ম ফিলাপ করে জমা দিতে পারেন। তবে আবেদনের সময় যে ডকুমেন্টস অবশ্যই সাথে রাখতে হবে সেগুলি হল নিম্নরুপঃ
- ভোটার কার্ড
- আঁধার কার্ড
- রেশন কার্ড (বর্তমানে ডিজিটাল রেশন কার্ড)
- প্যান কার্ড
- চালু ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট
- একটি চালু মোবাইল নাম্বার