নিউজশর্ট ডেস্কঃ নতুন সিমকার্ড তোলা হোক বা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ওপেনিং, রেশনকার্ড হোক বা ট্রেনের টিকিট বুকিং আঁধার কার্ড (Aadhar Card) লাগবেই। এখানেই শেষ নয়, শিশু জন্মের পরেই সরকারি সুবিধা থেকে টিকাকরণের ক্ষেত্রেও যেমন আঁধার কার্ড লাগে তেমনি মৃত্যুর পর দাহ কাজের আগেও পরিচয়পত্র হিসাবে দিতে হয় আঁধার কার্ডই। প্রত্যেকের জীবনের সাথে এতটা জড়িয়ে গেলেও আঁধার কার্ড নাগরিকত্বের প্রমাণ নয় জানালো খোদ ইউনিক আইডেনটিফিকেশন অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (UIDAI)।
আঁধার কার্ড নাগরিকত্বের প্রমাণ নয়!
ইউনিক আইডেনটিফিকেশন অথরিটি অফ ইন্ডিয়া এর তরফ থেকেই আঁধার কার্ড প্রদান করা হয়ে থাকে। তবে এবার আঁধার কার্ড বাতিল সংক্রান্ত মামলায় চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি তৈরী হয়েছে। আসলে লোকসভা নির্বাচনের আগেই আঁধার কার্ড বাতিলের ঘটনায় হইচই পড়ে গিয়েছিল। এরপর জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়। যে আইনি ধারায় আঁধার কার্ড বাতিল করা হয়েছিল সেই ২৮এ আইনের সাংবিধানিক বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করেই এই মামলা হয়েছিল।
এই মামলায় গত বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টে যে তথ্য উঠে এল তা রীতিমত শিরোনাম তৈরী করেছে। এদিন UIDAI এর আইনজীবী জানান, যারা এই দেশে ১৮২ দিন একটানা বাস করছেন তাদের সরকারি ভর্তুকি পাইয়ে দেওয়ার জন্য আঁধার কার্ড দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। তবে আঁধার কখনোই নাগরিকত্বের প্রমাণ নয়!
বাংলায় আঁধার কার্ড বাতিলের ঘটনার সামনে আসার পরেই NRC’র বিরোধিতা করা যৌথ ফোরামের তরফ থেকে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করা হয়েছিল। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবাজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে এই PIL মামলা উঠেছে শুনানির জন্য।
এই প্রসঙ্গে NRC যৌথ ফোরামের কাউন্সিল ঝুমা সেন জানান, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের বক্তব্যে বিভ্রান্তি রয়েছে। এই বিষয়ে CMO এর থেকে একটি চিঠি PMO অফিসে পাঠানো হয়েছে। একইসাথে রাজ্যসভার এক সদস্য বিষয়টিকে কেন্দ্রের কাছে তুলে ধরেছেন। UIDAI প্রাথমিকভাবে জানিয়েসিল এটি টেকনিক্যাল ত্রুটি’।