নিউজশর্ট ডেস্কঃ রাত পোহালেই রথযাত্রা। পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের (Puri Jagannath Temple) সবথেকে বড় উৎসব।মন্দির চত্বর জুড়ে চলছে সাজ সাজ রব। ভগবান জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রা এই দিন রথে চেপে সাত দিনের জন্য পাড়ি দেন মাসির বাড়ির উদ্দেশ্যে। ভগবানকে মাসির বাড়ি নিয়ে যাওয়ার জন্য রাশি রাশি ভক্তরা রথের রশি টান দেন।ভগবান জগন্নাথদেবকে একবার চোখের দেখা দেখার জন্য বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লাখ লাখ মানুষ ছুটে আসেন সমুদ্র তীরবর্তী পুরীর এই মন্দিরে। আর রথযাত্রা হলে তো কোন কথাই নেই , মানুষের ঢল নামে মন্দির চত্বর জুড়ে। তবে এই মন্দিরে আসার ক্ষেত্রে কিছু অশুভ বিষয় রয়েছে, সেটাই তুলে ধরব আজকের প্রতিবেদনে।
শঙ্খ, চক্র, গদা, পদ্ম ধারী শ্রী বিষ্ণুর অবতার রুপী জগন্নাথ দেবের অধিষ্ঠান। দাদা বলরাম এবং বোন সুভদ্রাকে নিয়ে পুরীর মন্দিরে বসবাস জগন্নাথদেবের।মন্দিরটি বেলেপাথরের তৈরি, ১১৬১ খ্রিস্টাব্দ নাগাদ পুরীর জগন্নাথ মন্দির প্রতিষ্ঠা করা হয়। এই নিয়ে ঐতিহাসিকদের বিস্তর দ্বন্দ্ব আছে। মন্দিরের চারটি দ্বার– উত্তর দ্বার,দক্ষিণ দ্বার,পূর্ব দ্বার ও পশ্চিম দ্বার।উত্তর দিকের দরজাটি হস্তীদ্বার। দক্ষিণ দিকের দরজা অশ্বদ্বার। পূর্ব দিকের দরজা সিংহদ্বার এবং পশ্চিম দিকের দরজা ব্যাঘ্র দ্বার। কথিত আছে, এই মন্দির দর্শনে পাপ সাধারন ক্ষয় হয়। সেই আশায় এবং কিন্তু সেই মন্দিরে অবিবাহিত দম্পতিরা পা রাখলেই ভেঙ্গে যায় তাদের মধুর সম্পর্ক। এর নেপথ্যে রয়েছে এক অভিশাপ।
মন্দিরে গেলে কেন ভাঙন ধরে সম্পর্কে?
এক কিংবদন্তির কথা অনুসারে, একবার রাধা রানী জগন্নাথ মন্দিরে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। রাধারানী মন্দিরে প্রবেশ করতে গেলে মন্দিরের পুরোহিত তাকে দরজায় বাধা দেন। রাধা রানী তাকে এই আচরণের কারণ জিজ্ঞেস করলে পুরোহিত বলেন, দেবী, আপনি শ্রীকৃষ্ণের বিবাহিত স্ত্রী নন। এতে শ্রী রাধা রেগে যান।
এরপরই রাধা রানী জগন্নাথ মন্দিরকে অভিশাপ দিয়েছিলেন যে, এখন থেকে কোনও অবিবাহিত দম্পতি একসঙ্গে এই মন্দিরে প্রবেশ করলে সে তাঁর জীবনে প্রেম পাবেন না। সেই থেকেই অবিবাহিত দম্পতিরা মন্দিরে একসাথে প্রবেশ করলে ভাটা পড়ে তাদের প্রেমের সম্পর্কে।
প্রসঙ্গত, মন্দিরে বিধর্মী বিবাহিতদের থেকে শুরু করে অবিবাহিত দম্পতিদের আগমন, সবকিছুকেই একটু বেঁকা চোখে দেখেন মন্দিরের পুরোহিতরা। সমাজে আধুনিকার ছোঁয়া লাগলেও মন্দির চত্বর এখনও কঠোর নিয়মের বেড়া জালে বন্দি। বর্তমানে জিন্স বা শর্টস-এর মত কোন জামা পড়ে মহিলাদের প্রবেশ বাধা দান করেন মন্দিরের পুরোহিতরা।