নিউজশর্ট ডেস্কঃ বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে বিদ্যুৎ (Electricity) ছাড়া দৈনন্দিন জীবন কল্পনাও করা যায় না। বিশেষ করে গরমকালে ফ্যান, ফ্রিজ, এসি থেকে শুরু করে স্মার্টফোন লাইট ইত্যাদি চালু রাখতে বিদ্যুৎ অপরিহার্য। কিন্তু মুশকিল হল গ্রীষ্মকালে ইলেকট্রিক বিqল রীতিমত ঝটকা দিচ্ছে রাজ্যবাসীকে। কারেন্টের বিল দিতে গিয়েই মাথায় হাত পড়ছে অনেকের। তাই এবার সেই সমস্যার সমাধানে এগিয়ে এল পশ্চিমবঙ্গ সরকার (Government of West Bengal)।
আপনি যদি একজন পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থার (WBSEDCL) থেকে বিদ্যুৎ নেন তাহলে সরকার প্রতিটা বিলেই ভূর্তুকি দিয়ে থাকে। নাহলে এখন যে বিল দিতে হচ্ছে তার থেকেও বেশি বিল পেমেন্ট করতে হত। তবে জানেন কি সরকার ৭৫ ইউনিট পর্যন্ত বিদ্যুৎ একেবারেই বিনামূল্যে দিচ্ছে। হ্যাঁ ঠিকই দেখছেন প্রায় ৩০০ টাকার কারেন্ট খরচ করলেও আপনাকে এক টাকাও বিল দিতে হবে না। আসলে ২০২০ সালেই পশ্চিমবঙ্গ সরকার ‘হাসির আলো’ প্রকল্প চালু করেছিল। আজকের প্রতিবেদনে সেই বিষয়েই আপনাদেরকে জানাবো।
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের হাসির আলো প্রকল্প
এই প্রকল্পের আওতায় থাকা পরিবারেরা তিন মাসে ৭৫ ইউনিট পর্যন্ত বিল একেবারে বিনামূল্যে পেয়ে যাবে। তবে ০.৩ কিলোওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন মিটারের ক্ষেত্রেই এই প্রকল্প প্রযোজ্য হবে। এছাড়াও আবেদনকারীকে অবশ্যই বিপিএল তালিকাভুক্ত হতে হবে। অর্থাৎ যার নাম বিদ্যুতের কানেকশন তার বিপিএল রেশন কার্ড থাকতে হবে।
মূলত রাজ্যের আর্থিকভাবে পিছিয়ে থাকা মানুষ ও তাদের পরিবারের কথা ভেবেই এই প্রকল্প চালু হয়। এতে করে মাসের নূন্যতম যে বিদ্যুৎ খরচ হয় তার বোঝা নিতে হয় না কাউকে। তবে রাতের বেলা লাইট ও গরমে ফ্যান চালিয়ে কিছুটা স্বস্তি পাওয়া যায়। কিভাবে এই প্রকল্পের জন্য আবেদন করা যেতে পারে? চলুন জেনে নেওয়া যাক পদ্ধতি।
আরও পড়ুনঃ মাসে ১১২৬ দিয়েই ১৩,৪০,০০০ টাকার রিটার্ন! ২০২৪ সালের সেরা সঞ্চয় প্রকল্প লঞ্চ করল পোস্ট অফিস
হাসির আলো পপ্রকল্পে আবেদনের পদ্ধতিঃ
- আবেদকারীকে প্রথমেই নিকটবর্তী বিদ্যুৎ অফিসে গিয়ে যোগাযোগ করতে হবে।
- সেখানে নিজের নাম নথিভুক্ত করাতে হবে, বা দুয়ারে সরকারের ক্যাম্পের আয়োজন করা হলে সেখানেও গিয়ে আবেদন করা যেতে পারে।
- আবেদন করার সময় সমস্ত ডকুমেন্টস জমা করতে হবে। সেক্ষেত্রে ঠিকানার প্রমাণপত্র, আঁধার কার্ড, জমির ট্যাক্স বা খাজনার রশিদ এর মত ডকুমেন্টস জমা দিয়ে অ্যাপ্লাই করতে হবে।