নিউজশর্ট ডেস্কঃ রাজ্যের মহিলাদের কথা চিন্তা করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee) একাধিক জন কল্যাণকর কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার (laxmir Bhandar), কন্যাশ্রী থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য সাথী, ২০১১সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে সব প্রকল্পই চালু করেছেন তিনি। তবে এবার লোকসভা নির্বাচনে সবুজ আবির উড়তেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হয়ে উঠেছেন মমতাময়ী। সেই নিরিক্ষে রাজ্য আর ১০০০ বা ১২০০ টাকা দেবে না, দেবে ২০০০ টাকা।
২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের জয় লাভ করেই মুখ্যমন্ত্রী নিজ রাজ্যের মহিলাদেরকে আর্থিকভাবে স্বনির্ভর করে তোলার লক্ষ্যে সূচনা করেছিলেন ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ এর। শুরু থেকেএই প্রকল্পের আওতায় প্ৰতি মাসে পাঁচশো টাকা করে ভাতা পেতেন জেনারেল কাস্টের মহিলারা। তফসিলি জাতি এবং উপজাতি ভুক্ত মহিলাদের দেওয়া হত ১০০০ টাকা।
তবে লোকসভা নির্বাচনের আগে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের অনুদানের পরিমাণ বাড়িয়েছে রাজ্য।বর্তমানে এই প্রকল্পের আওতায় মাসে ১০০০ টাকা করে পাচ্ছেন সাধারণ কাস্টের মহিলারা। তফসিলি জাতি এবং উপজাতি ভুক্ত মহিলাদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে ১২০০ টাকা। যার ফলে স্বাভাবিকভাবেই দারুন খুশি হয়েছেন রাজ্যের সমস্ত উপভোক্তা মহিলারা।
আরও পড়ুনঃ গোদের উপর বিষফোঁড়া, রিচার্জের পর বাড়ছে বাসের ভাড়া! বাস মালিকদের দাবিতে মাথায় হাত আমজনতার
রাজ্যের নয়া প্রকল্প
১০০০ টাকা বা ১২০০ টাকা নয়, এই প্রকল্পের আওতায় মিলবে প্রতি মাসে ২০০০ করে টাকা। অর্থাৎ এক বছরে ২৪ হাজার টাকা পর্যন্ত আর্থিক অনুদান পাওয়া যেতে পারে। আসলে এটি হল ঐকশ্রী স্কলারশিপ। এই প্রকল্পের মাধ্যমে যোগ্য পড়ুয়াদের আর্থিক সাহায্য প্রদান করা হয়ে থাকে। স্নাতকোত্তর স্তরে দুই বছরের জন্য ৪৮ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়।
এমবিবিএস সহ বিভিন্ন ধরনের পেশাদারী পড়াশোনা যারা করেন তারাও বিষয়ের ভিত্তিতে পাঁচ বছরের জন্য প্রতিবছর ২৪ হাজার টাকা করে পর্যন্ত পান। কোনো পড়ুয়া বি এড করলে, ১৮ হাজার টাকা করে দুই বছর পাবেন। রাজ্য সরকারের এই অভিনব প্রকল্পের মাধ্যমে প্রাক মাধ্যমিক, উচ্চ শিক্ষা ও পেশাদারী শিক্ষার জন্য পড়ুয়াদের আর্থিকভাবে সাহায্য করা হয়ে থাকে। তবে এই প্রকল্পে কেবলমাত্র মুসলিম, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি, শিখ সম্প্রদায়ভুক্ত পড়ুয়ারাই আবেদন করতে পারবেন।