নিউজশর্ট ডেস্কঃ প্রত্যেকেই তাদের নিজের জীবনে সুন্দর সম্পর্কের (Relation) স্বপ্ন দেখেন। ভালোবাসা মানুষটির হাত ধরে প্রত্যেকেই তাদের জীবনে সুখী হতে চান। অনেকের ইচ্ছা পূরণ হলেও ,কারো কারো ক্ষেত্রে সম্পর্ক ভেঙ্গে চুড়ে শেষ হয়ে যায়। তবে এর জন্য দায়ী কে? আজকে তারই কিছু কারণ জেনে নেব।
অনেক সময় মন দিয়ে সঙ্গিনীকে ভালোবাসলেও কিছু মাস যেতে না যেতেই সম্পর্কে বিচ্ছেদ ঘটে। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে অতি দ্রুত প্রেম যেমন হচ্ছে, তেমনি সেই প্রেমের সম্পর্ক ভাঙতেও সময় লাগছে না বেশি। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে অনেকেই ডিপ্রেশনের মতো ভোগেন। তবে এর জন্য দায়ী ৫ কারণ। এই প্রতিবেদনেই তা তুলে ধরবো বিস্তারিতভাবে।
আকাশছোঁয়া প্রত্যাশা : সম্পর্কের শুরুতেই আপনি আপনার সঙ্গীর উপরে প্রত্যাশার ভার চাপিয়ে দেন। আর সেটা হয়তো তাঁর খুবই খারাপ লাগে। প্রথমে এগুলো হাসি মুখে মেনে নিলেও পরবর্তী সময়ে তা বিরক্তিকর লাগতে শুরু করে। আর এমন চলতে থাকলে একসময়ে আপনার সঙ্গীর হয়তো দমবন্ধও লাগতে পারে। তাই তিনি আপনাকে ছেড়ে চলে যান।এবার থেকে একটু সতর্কভাবে চলুন। সম্পর্কের প্রথমেই বিপরীতের মানুষটির উপরে প্রত্যাশার ভার চাপিয়ে দেবেন না।
সঙ্গিনীকে সময় দিতে পারেন না : প্রেমের সম্পর্কটি সুন্দর করে সাজিয়ে তুলতে একটু সময় লাগে। আর একে অপরকে সেই সময়টা দিতেই হবে। নাহলে সম্পর্কের ভিত মজবুত হবে কী ভাবে? কিন্তু আপনি তো একদম অন্যরকম। সম্পর্ককে সময় দিতে নারাজ। আপনি মনে করেন, একজন মানুষকে মনে মনে ভালোবাসলেই সম্পর্কও ঠিক রাখা যায়। তবে ভালোবাসার মতো সম্পর্কে সময় দেওয়াটা খুব দরকার।
আরও পড়ুনঃ ৭২ বছর পর শ্রাবণ মাসের বিরল যোগ, এই কাজগুলি করলেই মিলবে মহাদেবের কৃপা!
আপনার ইগো : বিশেষজ্ঞদের মতে, সম্পর্ক ভালো রাখার অন্যতম পন্থাই হল সঠিক কমিউনিকেশন। অর্থাৎ আপনাদের দুজনের যদি কোনও সমস্যা হয়, তাহলে সেটা নিয়ে সরাসরি আলোচনা করা জরুরি। মুখোমুখি কথা বললে এবং সমস্যা সমাধানের পথ বের করতে পারলেই পরিস্খিতি সহজ হবে। কিন্তু আপনি তো সমস্যা দেখলেই দূরে পালান। কিন্তু আপনার ইগোর জন্য আপনি কথা বলে সমস্যা সমাধান করেননা ,তাই অকালেই ভেঙ্গে যায় সম্পর্ক।
দায়িত্ব নিতে ভয় পান : সম্পর্ক শুরু করলে যে দায়িত্ব নিতেই হবে। নাহলে সামনের মানুষটি আপনাকে ভরসা করবেন কী ভাবে? কিন্তু আপনি যদি দায়িত্ব নিতেই প্রস্তুত না থাকেন, তাহলে তো সম্পর্ক ভাঙবেই। আজ না হয়তো কাল। তাই এবার থেকে একটু বুঝেশুনে পদক্ষেপ করুন। অল্প অল্প দায়িত্ব নিতে শিখুন। আপনার সম্পর্কেরপথ তাতেই মসৃণ হবে।
সঙ্গিকে জোরপূর্বক ঘনিষ্ঠ হতে বাধ্য করা : আপনার প্রিয় মানুষটির সঙ্গে সময় কাটানোর ইচ্ছে হতেই পারে। এটা বেশ স্বাভাবিক। কিন্তু তাঁর জীবনের ব্যক্তিগত পরিসর এবং সময়কে সম্মান করাও তো জরুরি। আপনি যদি সব সময়ে জোর করে সম্পর্কে ঘনিষ্ঠ হতে বাধ্য করেন তাহলে আপনার সম্পর্ক তিক্ততায় ভরে উঠবে।