নিউজশর্ট ডেস্কঃ মাত্র ১০ দিন আগে অভিনেত্রী সোহিনী সরকার (Sohini Sarkar) সাত পাকে বাঁধা পড়েছেন গায়ক শোভন গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে। এই বিয়ে ঘিরে বারংবার উঠে আসছে সোহিনী সরকারের প্রাক্তন প্রেমিক রণজয় বিষ্ণুর প্রসঙ্গ। বিগত কিছুদিন আগে প্রাক্তন প্রেমিকার বিয়ের জন্য শুভেচ্ছাও জানিয়েছিলেন অভিনেতা রণজয় বিষ্ণু (Ranojoy Bishnu)। তবে এবার সেই সব ঘিরেই রণজয় দিকে প্রশ্নের তীর ছুঁড়ে দিলেন সোহিনী।
বিয়ের আবহে আচমকাই সোহিনীর প্রাক্তন সম্পর্ক নিয়ে সরগরম টলিউড থেকে সোশ্যাল মিডিয়া। বিয়ে পরবর্তী ‘কদর্য আলোচনা’য় এক প্রকার বিরক্ত সোহিনী। সেই সঙ্গে বিয়েতে প্রাক্তন প্রেমিকের মিডিয়ার সামনে শুভেচ্ছা বার্তাও ভালোভাবে গ্রহণ করেননি অভিনেত্রী। এই সবের মাঝেই সোহিনীর কাছ থেকে উঠে এল একাধিক প্রশ্ন।
রণজয়কে কি কি প্রশ্ন করলেন সোহিনী?
বিয়ের আমেজে এই আলোচনার মাঝে সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুললেন সোহিনী। তিনি বলেন, প্রাক্তন মিডিয়া বাইট দেওয়া ছাড়া কিছু করছে না। ব্যক্তিগতভাবে বিয়ের শুভেচ্ছাও জানায়নি।তাহলে কি পাবলিক সিম্প্যাথি আদায়ের জন্য এই শুভেচ্ছা বার্তা? সোহিনীর দ্বিতীয় প্রশ্ন, ২০২২-এ রণজয় সিরিয়াল (গুড্ডি) করার পর থেকেই কেন তাঁদের মধ্যে সমস্যা শুরু হল?
সোহিনীর প্রশ্নের প্রত্যুত্তরে রণজয়
প্রাক্তন প্রেমিকার প্রশ্নের উত্তরে মুখ খুললেন রণজয়। সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, ‘আমার এটা নিয়ে কোনও বক্তব্য নেই। আমার সঙ্গে সোহিনীর একটা সম্পর্ক ছিল, সুন্দর একটা সম্পর্ক ছিল। কোনও সম্পর্ক কোনও একটা কারণেই তো ভেঙে যায়।” এর পাশাপাশি সোহিনীর প্রথম প্রশ্ন অর্থাৎ মিডিয়াতে শুভেচ্ছা বার্তা দেওয়ার প্রসঙ্গে অভিনেতা বলেন, আমি তো কোনও মিডিয়াকে কখনও ফোন করে যেচে ওর কথা বলিনি। বরং আমি তো এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছি। আমি নিজের ব্যক্তিগত জীবন তো সবসময় অ্যাভোয়েড করারই চেষ্টা করি। তারপর লোকজন যখন বরংবার প্রশ্ন করেছে তখন এড়িয়ে গেলে লোকে ভাবে তাহলে নিশ্চয় কিছু আছে ,তাই জন্যই মিডিয়াতে বলা”।
আরও পড়ুনঃ বিছুটি পাতা হাতে প্রেম প্রস্তাব! রইল সোহিনী সহ রণজয় বিষ্ণুর প্রাক্তন প্রেমিকাদের তালিকা
গুড্ডি-তে যোগ দেওয়ার পরেই কেন ভাঙল সম্পর্ক? সোহিনীর এই প্রশ্নের উত্তরে রণজয় বলেন, ‘এই উত্তর যদি আমি দেওয়ার কথা ভাবি সেটা অনেকের জন্য ভালো হবে না। সেটা আমি আর চাই না। কারণ, মিডিয়ার মাধ্য়মে হোক বা যে কোনও ভাবেই হোক আমাকে যদি কোনও কারণে দোষী করা হয় তাহলে সত্যি আমার কিচ্ছু যায় আসে না। কারণ সত্যিটা প্রমাণ করতে হয় না। দ্বিতীয় কথা হল, একটা জিনিস তো মানবেন, পৃথিবীতে কোনওদিন একহাতে তালি বাজে না। আমার কাউকে কিচ্ছু প্রমাণ করার নেই। যার যা ভাববার সে ভাবুক, আমার তাতে কাঁচকলা।”