নিউজশর্ট ডেস্কঃ ২৪ জুলাই, এই দিনেই বাংলা চলচ্চিত্র জগতে ঘটেছিল নক্ষত্র পতন। শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছিলেন মহানায়ক উত্তম কুমার (Uttam Kumar)। এই দিনটিতে কিংবদন্তি অভিনেতার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bannerjee)। প্রত্যেক বছরের মতো সিনে দুনিয়ার একাধিক শিল্পীকে বিশেষ ‘মহানায়ক’ পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। তেমনি এই সম্মানে ভূষিত হলেন অভিনেতা শুভাশিষ মুখোপাধ্যায় (Subhasish Mukherjee)।
টলিউডের এক খ্যাত নামা অভিনেতা হলেন শুভাশিষ মুখোপাধ্যায়। ১৯৮১ সালে অভিনয় জগতে পা রাখেন এই বর্ষীয়ান অভিনেতা। হাসি-মজা-ঠাট্টায় দর্শকদের মন জয় করতে শুরু করেছিলেন তিনি। এখন তিনি দর্শকদের মনে নিজের জায়গা করে নিয়েছেন। মহানায়ক উত্তম কুমারের প্রয়াণ দিবসে ‘মহানায়ক’ পুরস্কার পেয়ে খুশিতে ডগমগ হয়ে কি জানালেন অভিনেতা? তা বিশদে তুলে ধরবো এই প্রতিবেদনে।
‘মহানায়ক’ পুরস্কার পেয়ে কেমন লাগছে?
৪৪ তম মহানায়ক সম্মানে সম্মানিত হলেন বর্ষীয়ান অভিনেতা শুভাশিষ মুখোপাধ্যায়। এক সংবাদ মাধ্যমে তার অনুভুতির কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ভীষণ ভাল লাগছে। বিশেষ করে মহানায়ক সম্মান পাওয়া, এক আলাদা আবেগ। আমি যখন শুরু করি তখন টলিপাড়ার পালা বদল ঘটছে। তখন অনুপ কুমার চলে যাচ্ছেন, ভানু মুখোপাধ্যায় চলে গেলেন, জহর রায় চলে গেলেন, রবি ঘোষ চলে গেলেন, পরবর্তীতে চিন্ময় রায়ও চলে গেলেন। কমেডির জগতে তখন অনেকেই চলে গিয়েছেন। আমি যখন প্রবেশ করছি তখন ভানুদাকে পাইনি কাজে, অন্যভাবে পেয়েছিলাম, অনুপ কুমার, রবি ঘোষ কাজের মাঝে এদের খানিকটা পেয়েছিলাম। চিন্ময় রায়কেও পেয়েছিলাম। কাজও করেছি এই তিনজনের সঙ্গে। তারপর থেকে চেষ্টা করে গিয়েছি মানুষকে আনন্দ দেওয়ার, সকলের শুভেচ্ছা ভালবাসায় করেও যাচ্ছি।
পাশাপাশি আরও বলেন, একই মঞ্চে প্রসেনজিতের সঙ্গে পুরস্কার নিচ্ছি, মহানায়কের নামে, এটা বড় প্রাপ্তী আমার কাছে। প্রসেনজিতের সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত সম্পর্ক, কেরিয়ারে ও যেভাবে আমার পাশে থেকেছে, দাঁড়িয়েছে, এখনও থাকে, ফলে এটা আমার কাছে এক বড় পাওয়া। সর্বপরী মুখ্যমন্ত্রীর হাত থেকে এই পুরস্কার পাওয়া, খুব খুশি হয়েছি।
কেমণ ছিল অভিনয়ের জার্নি ?
এদিন পুরস্কার পেয়ে হাসতে হাসতে বলেন, কত কথাই তো মনে পড়ে। কত রকমভাবে, কত লড়াই করে কাজটা করে যেতে হয়েছে। একজন অভিনেতার একটা ভাল কাজ জোগার করা, সে যে কতখানি শক্ত, কতখানি পরিশ্রমের, তা চট করে কেউ বুঝবে না তো। সিরিয়ালে বর্তমানে সবটা ভীষণ সহজলভ্য হয়ে গিয়েছে। পাওয়া যায়। আমাদের সময় তখন শুধুই সিনেমা। সিরিয়াল সেভাবে কোথায়? সিনেমায় কাজ পাওয়াটা তখন ভীষণ শক্ত কাজ ছিল। সেখানে কাজ পাওয়া, টিকে থাকা, অভিনয়ের জন্য অনেকটা সময় দিতে হয়েছে। হোল টাইমার হয়ে গিয়েছিলেন সেই কারণে।
এরপর তিনি আরও বলেন, প্রখ্যাত অভিনেতা, পরিচালক নাট্যকার অজিতেষ মুখোপাধ্যায় বারবার বলতেন, অভিনেতা হতে গেলে হোল টাইমার হতে হবে। কথাটা কানে খুব বাজত। ফলে পেশা হিসেবে সব সময়টা অভিনয়কে দিয়েছি, যা যা করতে হয়েছে করেছি। তার জন্য আমার কোনও ক্ষোভ নেই, বরং আমি গর্বিত, যে আজ যা করেছি, সবটাই আমার পরিশ্রমের ফল।