নিউজশর্ট ডেস্কঃ সঙ্গীত জগতে এক নক্ষত্রের নাম হল বাপ্পি লাহিড়ী (Bappi Lahiri)। হিন্দী চলচ্চিত্র শিল্প-সহ বাংলা গানের গীতিকার, সুরকার, সঙ্গীত পরিচালক ও গায়ক হিসেবে তিনি পরিচিত। এছাড়াও, সঙ্গীত জগতে তিনি বাপ্পীদা নামেও সমধিক পরিচিত। তিনি চোখে পরতেন কালো রঙের রোদচশমা। সারা গায়ে থাকত লক্ষ লক্ষ টাকার সোনার গহনা। ২০২২ সালে তাঁর আকস্মিক মৃত্যুর পর সোনাগুলোর এখন কোথায়?
বাপ্পী লাহিড়ি পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতে সমৃদ্ধ এক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার ডাক নাম আলোকেশ বাপ্পী লাহিড়ি। বাবা অপরেশ লাহিড়ী ছিলেন একজন বাংলা সঙ্গীতের জনপ্রিয় গায়ক। মা বাঁসুরী লাহিড়িও ছিলেন একজন সঙ্গীতজ্ঞ ও গায়িকা। সংগীত শিল্পী কিশোর কুমার ছিলেন সম্পর্কে তাঁর মামা। বাপ্পী লাহিড়ি ১৯ বছর বয়সে সঙ্গীত জগতে পা দেন। তারপর থেকে ডিস্কো ড্যান্সার, চলতে চলতে সহ জনপ্রিয় গান রয়েছে তাঁর ঝুলিতে। এই জনপ্রিয় মানুষটির শরীরে থাকত বহুমুল্যের সোনার গহনা। তা মৃত্যুর পর সেই সোনা কি দান করা হয়েছে? তা জানাবো এই প্রতিবেদনে।
কেন লাখ লাখ টাকার সোনা পড়ে থাকতেন বাপি লাহিড়ী?
গয়না অন্ত প্রাণ ছিলেন মানুষটি। গয়না ছাড়া বের হতেই পারতেন না। চোখে পরতেন কালো রঙের রোদচশমা। সারা গায়ে থাকত সোনা। লক্ষ লক্ষ টাকার গয়না পরেই যেতেন বিভিন্ন অনুষ্ঠানে। কেন এত সোনা পড়তেন? এই বিষয়ে নিজেই জানিয়েছিলেন তিনি। তিনি বলেছিলেন, সোনাকে তিনি সৌভাগ্যের প্রতীক বলে মনে করেন। সেই কারণেই সব জায়গাতেই সোনা নিয়ে যেতেন তিনি। খেয়াল রাখতেন নিজের অলঙ্কারেরও ।
বাপ্পি লাহিড়ীর আকস্মিক মৃত্যুর পর কোথায় এখন সেই সোনা?
২০২২ সালে স্লিপ অ্যাপনিয়ায় মৃত্যু হয়েছিল বাপ্পি লাহিড়ির। তাঁর আচমকা প্রয়াণে চমকে গিয়েছিলেন সকলেই। মৃত্যুর দুই বছর পার হয়ে গেছে। এখন সেই সোনা কোথায়? জানা যায়, ২০১৪ সালেই এক উইল করে গিয়েছিলেন বাপ্পি লাহিড়ি। সেই উইলে তিনি দাবি করেছিলেন, তাঁর কাছে মোট ৭৫৪ গ্রাম সোনা রয়েছে। সেই সময় দাঁড়িয়ে ওই গয়নার বাজারমূল্য ছিল ৩৮ লক্ষ ৭১ হাজার ৭৯০ টাকা। সেই উইলে উল্লেখ করা হয়, বাপ্পির মৃত্যুর পর তাঁর যাবতীয় সোনাদানার দায়িত্ব পাবেন ছেলে বাপ্পা ও মেয়ে রিমা।
আরও পড়ুনঃ ‘ক্ষোভ নেই, বরং আমি গর্বিত’, মহানায়ক সন্মান পেয়ে ইন্ডাস্ট্রির অতীত বর্তমান নিয়ে অকপট শুভাশিষ
তাঁর সেই ইচ্ছেকেই সম্মান জানিয়েছেন বাপ্পির সন্তানেরা। নিজেরা ব্যবহার না করলেও ওই বিপুল সোনা বিক্রি করেননি তাঁরা। বাবার স্মৃতি হিসেবে তা আজও গচ্ছিত রয়েছে তাঁদের পরিবারে। তবে বাপ্পি লাহিড়ি যে শুধু গয়নারই মালিক ছিলেন তা নয়। গাড়িরও শখ ছিল তাঁর। ছিল বিমএমডব্লিউ, টেসলা এক্স, অডির মতো দামি গাড়ি। প্রায় ২২ কোটি টাকা সম্পত্তি আগামী প্রজন্মের জন্য রেখে গিয়েছেন এই গায়ক।
প্রসঙ্গত, বাপ্পী লাহিড়ী ভারতীয় চলচ্চিত্রে ও ভারতীয় ধাঁচে ডিস্কো সঙ্গীত পরিবেশন করতেন। তার রচিত গানগুলো কিশোর কুমার এবং আশা ভোঁসলে’র নৈপথ্য কণ্ঠ সঙ্গীতের মাধ্যমে চলচ্চিত্রের পর্দায় এসেছে। বিজয় বেনেডিক্ট এবং শ্যারন প্রভাকরকেও তিনি সঙ্গীত শিল্পে অভিষেক ঘটান। এছাড়াও তিনি আলিশা চিনয় এবং ঊষা উথুপের সঙ্গেও কাজ করেন।