নিউজশর্ট ডেস্কঃ গ্রাম হোক বা শহর এখন প্রতিটা বাড়িতেই রান্নার জন্য LPG গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার করা হয়। তবে এবার নাকি বুকিং করলেও মিলছে না গ্যাস। এমনিতে যেখানে বুক করার এক বা দুই দিনের মধ্যেই গ্যাস চলে আসত সেটা ৫ দিন পরেও আসছে না। এমন পরিস্থিতিতে স্বাভাবিকভাবেই চিন্তায় পড়ে গিয়েছেন সাধারণ মানুষ।
উত্তর কলকাতা থেকে দক্ষিণ কলকাতা কেন গ্যাস পেতে এতটা দেরি হচ্ছে? উত্তর খুঁজতে ডিলারের কাছে গেলে তারা জানাচ্ছে আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। যার ফলে সকলের চিন্তা একটাই, রান্না হবে কি করে! কিছু লোকের মন্তব্য ৩ থেকে ৪ দিন হয়তো চলে যাবে, কিন্তু তারপর কি করে চলবে?
শহর জুড়ে গ্যাসের আকাল
হটাৎ শহর জুড়ে কেন এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হল? এই বিষয়ে ইন্ডিয়ান অয়েলের সাথে যোগাযোগ করা হলে তাদের মন্তব্য, কল্যাণীতে একটানা কর্মবিরতি চলছে। এর জেরেই গ্যাসের আকাল তৈরী হয়েছে। কল্যাণীতে Indane গ্যাসের বটলিং প্ল্যান্টে শ্রমিক বিক্ষোভ চলছে। যার ফলে বিগত ৭ দিন ধরে বন্ধ কাজ। এই প্ল্যান্ট থেকেই কলকাতা সহ উত্তর ২৪ পরগণা,নদীয়াতে সাপ্লান হয়। কিন্তু সেটা এখন হচ্ছে না।
কবে মিটবে গ্যাসের সমস্যা?
আরও কতদিন ব্যাহত হবে গ্যাসের পরিষেবা? এই প্রশ্নের উত্তরে জানা যাচ্ছে দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে। তাই আর সমস্যা হওয়ার কথা নয়। এই প্রসঙ্গে কারখানার বিজেপি সমর্থিত ঠিকা ট্রান্সপোর্ট মজদুর সংঘের সম্পাদক সঞ্জীব মালো জানান, ‘তৃণমূলের সংগঠন নিজেদের স্বার্থের জন্য কর্মবিরতি পালন করছে। কারখানার তরফ থেকে ৫৭ জন সদস্যের গাড়ি বসিয়ে রাখা হয়েছে। তবুও কর্মী সুরক্ষা, নূন্যতম মজুরি আর নিয়োগের দাবি মানতে নারাজ কর্তৃপক্ষ। আমরা সোমবার থেকে আন্দোলনে নেমেছি ঠিকই তবে কাজ বন্ধ করিনি।’
আরও পড়ুনঃ আর নয় সিভিকদের দাদাগিরি! রাজ্যে অনৈতিকতা ঠেকাতে করা সিদ্ধান্ত নিল নবান্ন
এছাড়াও সংগঠনের কোষাধ্যক্ষের অভিযোগ, তৃণমূলের সাথে ষড়যন্ত্র করে প্রতিমাসে ৯০ লক্ষ টাকার জালিয়াতি হচ্ছে কল্যাণী প্ল্যান্টে। এই দাবি অবশ্য সম্পূর্ণ মিথ্যে বলে জানান তৃণমূল সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অজিত কীর্তনিয়ার। তাঁর মতে, কাজ বন্ধ হয়নি ,অগাস্ট থেকে নতুন টেন্ডার শুরু হওয়ার ফলে শুরুতে ৭-৮ দিন কাজ স্লো হয়েছে।’ তবে এখন দেখার অপেক্ষা কতদিনে গ্যাসের সাপ্লাই আবারও স্বাভাবিক ছন্দে ফিরে আসে।