নিউজশর্ট ডেস্কঃ সম্প্রতিকালে আর জি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ঘটে যাওয়া ঘটনার জেরে বাংলা সহ গোটা দেশে চলছে আন্দোলন। ডাক্তারি পড়ুয়াকে ধর্ষণ ও খুনের যে ঘটনা সামনে এসেছে তা শিউরে ওঠার মত। এমন জঘন্য একটা ঘটনার প্রতিবাদে ও নারী সুরক্ষার দাবিতে রাস্তায় নেমেছে লক্ষ লক্ষ মহিলা ও পুরুষ। এমতাবস্থায় রাতের বেলা মহিলাদের নিরাপত্তার জন্য নতুন প্রকল্প ‘রাত্তিরের সাথী’ চালু করল পশ্চিমবঙ্গ সরকার।
মহিলা সুরক্ষায় চালু হল ‘রাত্তিরের সাথী’ প্রকল্প
মূলত যে সমস্ত স্বাস্থ্যকর্মী ও মহিলা চিকিৎসকরা রাতের বেলা কাজ করেন তাদের নিরাপত্তার জন্যই এই উদ্যোগ। আজ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ্য পরামর্শদাতা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় এই প্রকল্পে চালুর কথা ঘোষণা করেন। এদিন সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য তিনি জানান, রাজ্যের একাধিক দফতর সম্মিলিতভাবে এই প্রকল্পে নারী সুরক্ষার কাজ করবে।
‘রাত্তিরের সাথী’ প্রকল্পে কি কি সুবিধা থাকবে?
যেমনটা জানা যাচ্ছে, মেডিকেল কলেজে মহিলা চিকিৎসক তথা নার্সদের কাজের সময় যাতে ১২ ঘটার বেশ না হয় সেদিকে লক্ষ রাখা হবে। একইসাথে রাতের দিকে যাতে মহিলাদের বেশি ডিউটি না দেওয়া হয় সেদিকেও লক্ষ রাখা হয়। এর পাশাপাশি রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজগুলিতে নিয়মিত পুলিশ পেট্রোলিং চালানো হবে।
এখানেই শেষ নয়, মহিলাদের জন্য স্পেশাল রেস্ট রুম ও টয়লেট তৈরী করা হবে। যেটা সেফ জোনের আওতায় এনে সিসিটিভি দিয়ে নজরদারি চালানো হবে। রাত্তিরের সাথী প্রকল্পের আওতায় স্পেশাল মহিলা সিকিউরিটি ফোর্স থাকবে হাসপাতালে। এছাড়াও বিশেষ অ্যাপ তৈরী করা হবে যেটা মহিলা কর্মীদের ফোনে থাকবে। এর সাহায্যে স্থানীয় থানা ও পুলিশ কন্ট্রোল রুমের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করা যাবে।
আরও পড়ুনঃ পুজোর আগেই ফের বাড়বে লক্ষীর ভান্ডারের টাকা! কত ঢুকবে অ্যাকাউন্টে? খবর শুনেই খুশি মহিলারা
রাজ্যের সমস্ত মেডিক্যাল কলেজ, হাসপাতাল থেকে শুরু করে জেলা হাসপাতাল, সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালগুলিতে সিকিউরিটি চেকিং ও ব্রেথালাইজার টেস্টিংয়ের ব্যবস্থা করা হবে। এমনকি বেসরকারি মেডিক্যাল সংস্থাগুলিকেও সরকারি গাইডলাইন মানতে হবে। এছাড়াও প্যানিক সিচুয়েশনে ১০০ বা ১১২ হেল্পলাইন নাম্বারে ফোন করলেই তৎক্ষণাৎ অ্যাকশন নেওয়া হবে।