নিউজশর্ট ডেস্কঃ সম্প্রতি ঘটে যাওয়া আরজি কর দুর্ঘটনায় ক্ষুদ্ধ বাংলা সহ গোটা দেশ। সর্বত্র প্রতিবাদে নেমেছে বাচ্চা থেকে বড় নারী থেকে পুরুষেরা। হাসপাতালে চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের বিচার চাইছে আমজনতা। এমনকি স্কুলের ছাত্রছাত্রীরাও পথে নেমেছে। সোশ্যাল মিডিয়াতে দেখা গিয়েছে বেশ কিছু স্কুলের তরফ থেকে প্রতিবাদ মিছিল বের করা হয়েছিল। যার জেরে নবান্ন থেকে স্কুলের শিক্ষার্থীদের জারি হল বিশেষ বিজ্ঞপ্তি। কি বলা হয়েছে তাতে? চলুন জেনে নেওয়া যাক।
নবান্নের মতে অভিযোগ আন্দোলন তথা বিক্ষোভের জন্য স্কুলের ছাত্রীছাত্রীদের “ব্যবহার” করা হচ্ছে। কলকাতা থেকে শুরু করে ছোট বড় শহর ও গ্রামে চলছে বিক্ষোভ প্রদর্শন। আরজি কর ঘটনার বিচার চেয়ে জেম বাংলার মেয়েরা সরব হয়েছিল এখন তাদের সাথে দেখা মিলছে শিক্ষার্থীদেরও। এটাই মূলত অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে প্রশাসনের কাছে। এমতাবস্থায় আন্দোলন থেকে বিক্ষোভ প্রদর্শনী মিছিলে পড়ুয়াদের যোগ দেওয়া নিয়ন্ত্রণ করতেই জারি হল নির্দেশিকা।
যেমনটা জানা যাচ্ছে, রাজ্যের মুখ্য সচিব প্রশাসনিক কর্তাদের সাথে বৈঠক করেছেন। সেখানে তিনি জানিয়েছেন,স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের ব্যবহার করে রাস্তা অবরোধ থেকে বিক্ষোভ প্রদর্শনের মত কর্মসূচি করা হচ্ছে। এই ধরণের ঘটনা মোটেই বরদাস্ত করা যাবে না। কোথায় এই ধরণের ঘটনা ঘটেছে সেটা খুঁজে বের করে আটকাতে হবে বলে যেমন জানানো হয়েছে তেমনি বলা হয়েছে এমন কোনো কর্মসূচিতে পড়ুয়াদের যোগ দেওয়ানো যাবে না বলে সপোস্ট জানানো হয়েছে।
বিগত ১৮ই অগাস্ট বর্ধমানের দুটি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল থেকেই মিছিলের জন্য পুলিশ অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। ২১শে অগস্টেও দুটি স্কুল অনুমতি চেয়েছিল পুলিশের থেকে প্রতিবাদ মিছিলের জন্য। কোনো ক্ষেত্রেই অনুমতি দেওয়া হয়নি। জানা যাচ্ছে এর জেরেই হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে স্কুলগুলি। এরপর মঙ্গলবারই সুপ্রিম কোর্ট জানায় আন্দোলনকারীদের উপর কোনোভাবেই বলপ্রয়োগ করতে পারবেন না পুলিশ।
আরও পড়ুনঃ ১৫৬টি জ্বর-সর্দি থেকে ব্যাথার ওষুধ ব্যান করল সরকার! দোকানে যাওয়ার আগে অবশ্যই দেখুন লিস্ট
এই প্রসঙ্গে শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক কিংকর অধিকারী জানান, ‘গোটা দেশ তথা বিশ্ব আরজি করে ঘটনায় নড়ে উঠেছে। এখন এভাবে দমনের মাধ্যমে পড়ুয়াদের আত্মকেন্দ্রিকতা, পারস্পারিক সহানুভূতিহীন জগৎ তৈরি করছি আমরা? ওরা তো ন্যায় বিচার চাইছে। সরকারি প্রকল্পের প্রচারের জন্য তো তাদের ব্যবহার করা হয়। এতবড় একটা অন্যায়ের বিরুদ্ধে দোষীদের শাস্তির দাবি করা যাবে না? তাছাড়া রাজ্য শিক্ষা দফতর নির্দেশিকা না দিলেও জেলা শিক্ষা দফতর নির্দেশিকা জারি করে দিল! এটা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।’