নিউজশর্ট ডেস্কঃ জি বাংলার মা মেয়ের গল্প ‘কে প্রথম কাছে এসেছি’ (Ke Prothom Kache Esechi) এখন সকলের ফেবারেট। টিআরপি তালিকাতেও বেশ ভালো ফল করছে ধারাবাহিকটি। রক্তের সম্পর্ক না থাকলেও যেভাবে মিহিকে আগলে রেখেছে মধুবনী সেটার প্রশংসায় পঞ্চমুখ দর্শকেরা। কিন্তু সুখ কি আর কপালে সয়! অফিসের বস ঋকবাবুকে বিয়ে করার পর থেকেই একেরপর এক বিপদ এসে চলেছে তাদের জীবনে।
গত পর্বেই দেখা গিয়েছিল মিহিকে ভুল বুঝিয়ে মধুবনীকে নিয়ে বিষিয়ে দিয়েছিল কূটনী পিপি। এরপর অভিমান করে সে ঠিক করে বাড়ি ছেড়ে চলে যাবে তার আসল বাবার কাছে। যেমনটা ভয় ছিল তেমনই হল। বাড়ির সকলে যখন কোনো না কোনো কাজে ব্যস্ত তখন চিঠি লিখে বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছে মিনি।
রাস্তায় বেরিয়ে রকিং দোকানের খোঁজ করতে থাকে, যেখানে ঋক সৌভিকের সাথে দেখা করতে গিয়েছিল। সেখানেই টাকা পাওয়ার লোভে নিজেকে মিহির আসল বাবার পরিচয় দিয়েছিল। এদিকে মিহিকে খুঁজে না পেয়ে পাগলের মত অবস্থা মধুবনীর। যখন সে জানতে পারে সৌভিকের দেখা করার সময় মিহিকে নিয়ে গিয়েছিল ঋক তখনই তার বাড়ি যাওয়ার জন্য বেরিয়ে পরে।
এরপর সৌভিকের বাড়ি গিয়ে তাকে জিজ্ঞাসা করলে সে জানাই মিহি কোথায় সে জানে না। কথায় কথায় তাকে মিহির আসল বাবা বললে ঋককে মধুবনী স্পষ্ট জানায় মিহির সাথে তার কোনো সম্পর্ক নেই। এমনকি সৌভিকও বলে ওঠে, মিহির সাথে তো তোমারও কোনো রক্তের সম্পর্ক নেই। তাহলে কোথায় গেল ছোট্ট মিহি?
এরই মাঝে পুলিশের তরফ থেকে বাড়িতে ফোন আসে যে তাদের বাড়ির কাছেই একটা ছোট্ট মেয়ের অ্যাকসিডেন্ট হয়েছে। আইডেন্টিফাই করার জন্য লোক চাই, স্বাভাবিকভাবেই এই খবরে রীতিমত বাজ পড়েছে দাদাই, ঋক থেকেই মধুবনীর মাথায়। ইতিমধ্যেই চ্যানেলের অফিসিয়াল পেজে একটি প্রোমো ভিডিও শেয়ার করা হয়েছে যা নিমেষের মধ্যেই ভাইরাল হয়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুনঃ নেটপাড়ায় উঠেছে বয়কটের ডাক! কি বলছেন বাংলার ‘দিদি নং ১’ রচনা ব্যানার্জী?
তবে কি সত্যিই অ্যাকসিডেন্ট হল মিহির? না, একেবারেই সুস্থ আছে সে। রাস্তায় কিছু গরিব ভিক্ষুকদের সাথে দিব্যি বন্ধুত্ব পাতিয়ে গান শোনাতে শুরু করেছিল সে। সেই আওয়াজ কানে যায় মধুবনীর। তারপর সেখানে গিয়ে ছোট্ট মিহিকে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যায় দুজনে। তবে এবার কি সামনে আসবে মধুবনীর অতীত? জানতে হলে চোখ রাখুন টেলিভিশনের পর্দায়।