নিউজশর্ট ডেস্কঃ শীত গ্রীষ্ম হোক বা বর্ষা সারাবছরই তেষ্টা মেটাতে সফট ড্রিঙ্কস বা ফ্রুইট জুস খেয়ে থাকি আমরা সকলেই। বিশেষ করে অরেঞ্জ জুস ও ম্যাংগো জুস সবথেকে বেশি পপুলার। মাত্র ১০ টাকা খরচ করলেই ছোট্ট বোতল পাওয়া যায়। কিন্তু আদৌ কি আম থাকে এই ম্যাংগো জুসের মধ্যে? সম্প্রতি এমনই একটি ম্যাংগো ফ্রুইট জুস তৈরির ফ্যাক্টরির ভিডিও (Mango Juice Factory Viral Video) ভাইরাল হয়েছে যেটা দেখে রীতিমত মাথায় হাত উঠেছে অনেকেরই।
আসলে বাজারে বিক্রি হওয়া ফ্রুইট জুসের মধ্যে আসল ফলের রস কতটা থাকে সেই নিয়ে বহুবার বিতর্ক হয়েছে। ১০০% পিওর বলা হলেও দেখা যায় আদতে তাতে রয়েছে কেমিক্যাল, রং থেকে শুরু করে একগাদা চিনি, যেটা দীর্ঘদিন ধরে পান করা মানুষের শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক হতে পারে। তাই সোশ্যাল মিডিয়াতে এইরকম ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই সেটা ভাইরাল হয়ে গিয়েছে।
ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে কিভাবে কারখানায় বিশাল মাত্রায় ম্যাংগো জুস্ তৈরী করা হয়। তারপর সেটা টেট্রা প্যাক থেকে ছোট বড় বোতলের মধ্যে ভরে মার্কেটে বিক্রির জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তবে মজার বিষয় হল গোটা প্রক্রিয়ার মধ্যে কোথাও আমের দেখাই পাওয়া গেল না। যেখানে আমের জুস তৈরী হচ্ছে সেখানে আমিই নেই দেখে এতদিন ধরে কি খেয়ে চলেছেন সেটাই ভাবছেন নেটিজেনরা।
একজনের মতে, ‘এভাবেই মানুষের শরীরে ক্যান্সার বাসা বাঁধছে স্মোকিং না করার পরেও’। তো আরেকজনের মতে, ‘আমি ঈশ্বরের কাছে কৃতজ্ঞ সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে আমি এমন অনেক সুস্বাদু খাবার আমি ত্যাগ করে দিয়েছি। আমি এই ধরণের ২০০ শতাংশ পিওর ফ্রুইট জুস আর খাই না’। একইধরনের এমন শতাধিক মন্তব্য রয়েছে ভিডিওটির কম্মেন্ট বক্সে।
View this post on Instagram
আরও পড়ুনঃ পুজোর আগেই ফের ঝটকা! নতুন মাসে রিচার্জ প্লানের দাম ৩০০ টাকা বাড়াল Jio
অনেকেই নিজেদের মতামত দেওয়ার পাশাপাশি মানুষকে আরও সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। কারণ চকমকে কালারের প্যাকেজিং করলেই যে সেটা ভালো হবে তা কিন্তু একেবারেই নয়। তাই যখনই কিছু খাবার জন্য কিনবেন সেটার পিছনে দেওয়া উপাদানের তালিকা ভালো করে দেখে নেওয়া উচিত। এছাড়া ফলের রস খেতে হলে নিজে বানিয়ে খাওয়াই সবচেয়ে ভালো।