নিউজশর্ট ডেস্কঃ কলকাতার আরজি কর হাসপাতালের ঘটনা সম্পর্কে বাচ্চা থেকে বড় কেউই জানতে বাকি নেই। তিলোত্তমার সাথে ঘটে যাওয়া নৃশংস ঘটনার সুবিচার ও অপরাধীদের শাস্তিদের দাবিতে রাজপথে নেমেছে সাধারণ মানুষ। আমজনতা থেকে সেলিব্রিটি, শিক্ষক থেকে শুরু করে বিভিন্ন পেশার মানুষেরা আজ জুনিয়ার ডাক্তারদের পাশে দাবি করছেন বিচারের জন্য। একইসাথে মেয়েদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। কিছুদিন হল প্রতিবাদে শামিল হয়েছেন অভিনেতা দেবও। সম্প্রতি তারই বলা কিছু কথা রীতিমত হইচই ফেলে দিয়েছে।
রাজ্যের মহিলা প্রকল্প নিয়ে বিস্ফোরক দেব!
গতকাল আর্টিস্ট ফোরামের সমাবেশে হাজির ছিলেন দেব। সেখানেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে অভিনেতা জানান, ‘ঘটনাটা খুবই দুঃখজনক ও নিন্দনীয় ,তীব্র প্রতিবাদ জানানো উচিত। ভবিষ্যতে কারো নাম যেন তিলোত্তমা না রাখতে হয় সেই ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। তবে সেক্ষেত্রে সবাইকে হাতে হাত মিলিয়ে লড়াই করতে হবে। অথচ দেখা যাচ্ছে এমন সময় রাজনৈতিক দলগুলি একেঅপরকে দোষারোপ করে চলেছে। কখনো অসমের মুখ্যমন্ত্রী আমাদের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে কিছু বলছেন। তো কখনো আমাদের মুখ্যমন্ত্রী অন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে বলছেন। এই ধরণের ঘটনা আমাদের রাজ্য বা অন্য কোনো রাজ্য নয় বরং গোটা দেশের ইস্যু।’
কন্যাশ্রী রূপশ্রী নিয়ে যা বললেন দেব
এদিন রাজ্য সরকারের তরফ থেকে মহিলাদের জন্য শুরু করা বিভিন্ন প্রকল্পের কোথাও তোলেন তিনি। দেব বলেন, ‘কন্যাশ্রী, রূপশ্রী থেকে বেটি বাঁচাও এই সমস্ত প্রকল্পের কোনো মানেই হয় না যদি আমার এদেশের মেয়েদের বাঁচাতেই না পারি। আমার মতে, কেন্দ্রীয় সরকরের সমস্ত দলকে একসাথে করে বৈঠক ডাকা দরকার। সমস তরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে বৈঠকে কিভাবে এমন ঘটনা আটকানো যাবে ও অপরাধীদের শাস্তি দেওয়া হবে সেই বিষয় নিয়ে দেবে দেখা প্রয়োজন।’
আরও পড়ুনঃ ফাইনের নাম ‘অত্যাচার’ চলছে! পুলিশের বিরুদ্ধে পথে বাস নামছে বাস সংগঠন, আশঙ্কা বাস ধর্মঘটের
তিলোত্তমার বিচার চেয়ে শুরু হওয়া মানুষের প্রতিবাদকে সমর্থন জানিয়েছেন অভিনেতা তথা সাংসদ দেব। এদিন আন্দোলন সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি জানান, ‘সাধারণ মানুষের এই শান্তিপূর্ণ আন্দলোকে পূর্ণ সমর্থন। তবে বাংলায় সরকারকে ফেলে দেয়া বা অস্বস্তিতে ফেলার সময় এটা নয়। এই শান্তিপূর্ণ আন্দলোনকে এমনভাবে দেখতে চাই যে আগামী ১০০ বছর যেন ভারতের মানুষ মন রাখবে। তাছাড়া এই আন্দোলনের মাধ্যমেই সকলে মনে রাখবে যে ধর্ষণ-বিরোধী আইন তৈরী হয়েছে। আর কোনো মহিলাকে এমন ঘটনার সম্মুখীন হতে না হয়। তখনই এই আন্দোলন ও আন্দোলনকারীদের জয় হবে।’