নিউজশর্ট ডেস্কঃ একেই বাড়তে থাকা নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দামের জেরে নাজেহাল দশা সাধারণ মানুষের। এর মধ্যে হাজির নতুন বিপদ! পুজোর আগেই হু হু করে বাড়বে আলু পেঁয়াজ থেকে মাছ, মাংস সহ একাধিক পণ্যের দাম। কিন্তু হটাৎ কেন এমন হবে? কারণ হল ট্রাক চালকদের ডাকা ৭২ ঘন্টার বন্ধ বা বলা ভালো ট্রাক ধর্মঘট।
রাজ্য জুড়ে ৭২ ঘটার ট্রাক ধর্মঘট
আমরা বাজারে গিয়ে রোজকার প্রয়োজনের জিনিস কিনে আনতে পারি ঠিকই। কিন্তু তার জন্য রাজ্য জুড়ে কয়েক হাজার ট্রাক চলে। এই ট্রাকের চালকেরাই খাদ্য দ্রব্য থেকে শুরু করে সমস্ত জিনিস পরিবহন করে একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে পৌঁছে দেন। কিন্তু এবার জানা যাচ্ছে দীর্ঘদিন ধরে হয়রানির শিকার হওয়ায় ধৈর্য্যের বাঁধ ভেঙেছে ট্রাক চালকদের। যার জেরে একদিন বা দু দিন নয় সোজা ৩ দিন বা ৭২ ঘন্টার জন্য ট্রাক ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন চালকেরা।
কেন পুজোর মুখে ট্রাক ধর্মঘট?
রাস্তাঘাটে বেরোলেই দেখতে পাওয়া যায় ট্রাক বোঝাই করে মালপত্র নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। বিশেষ করে যারা রাতের দিকে হাইওয়ে দিয়ে বাড়ি ফেরেন তাঁরা এটা আরও ভালো করে বুঝতে পারবেন। পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে বেশ কিছু নিয়ম রয়েছে। এরই মধ্যে একটি হল ওভারলোডিং নিষিদ্ধ, কিন্তু সেটা খাতায় কলমেই রয়ে গিয়েছে মালিকেরা দিব্যি ওভারলোডিং করে গাড়ি চালিয়ে যাচ্ছেন। তাই এই সমস্যা সহ আরও বেশ কিছু দাবিতে এই ধর্মঘট ডাকা হয়েছে। যেটা ১৩ই সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে।
ঘর্মঘট প্রসঙ্গে যা বলছে FWBTOA
রাজ্যজুড়ে এই ট্রাক ধর্মঘটের দাবি দেওয়া হয়েছে ফেডারেশন অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রাক অপারেটর্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে। সংগঠনের এক মেম্বার সুভাষচন্দ্র বসু জানাচ্ছেন, আগামীকাল অর্থাৎ বুধবার সকাল ৬টা থেকে ধর্মঘট শুরু হবে। মূলত ওভারলোডিং বন্ধ করার জন্যই এই বন্ধ ডাকা হয়েছে। কারণ অতিরিক্ত মালবোঝাই করলে একদিকে যেমন রাস্তার ক্ষতি হয় তেমনি যাত্রাপথে দুর্ঘটনার আশংকাও বেড়ে যায়। তাছাড়া চালকেরা তাদের ন্যায্য পারিশ্রমিক থেকেও বঞ্চিত হন। তাই ট্রাক মালিকদের লাভ হলেও এতে আদতে চালকদের ক্ষতি হচ্ছে।
পুলিশের ও সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ
তবে শুধু ট্রাক মালিক নয়, রাজ্য সরকার থেকে পুলিশের বিরুদ্ধেও অভিযোগ উঠেছে। চালকদের মতে, বীরভূম ও কোচবিহারে ওয়ে ব্রিজে ওভারলোডিংয়ের জন্য ট্রাক পিছু ২৩৬ টাকা নেওয়া হয়, যেটা বেআইনি। এছাড়া রাজ্য পুলিশ থেকে ভূমি রাজস্ব দফতরের আধিকারিকদের ‘দাদাগিরি’ও সহ্য করতে হয়। এসবের জেরে রাজ্যের ৭ লক্ষ ট্রাকের অর্ধেক বসে গিয়েছে।