পার্থ মান্নাঃ সপ্তাহান্তের ছুটি হোক বা হটাৎ করে ঘুরতে যাওয়ার হুজুগ। বাঙালির ঘুরতে যাওয়ার প্রথম পছন্দ দীঘা বলা যেতেই পারে। যখন খুশি ট্রেন কিংবা বাসে করে ৩-৪ ঘন্টায় পৌঁছে যাওয়া যায় সমুদ্র নগরীতে। তাই সারাবছরই জমজমাট থেকে দীঘা। তবে উৎসবের মরশুমে অনেক সময়েই টিকিট পাওয়া মুশকিল হয়ে যায়। তবে চিন্তা নেই, ভিড় সামাল দিতে বড় উদ্যোগ নিল রাজ্য পরিবহণ দফতর।
উৎসবের মরশুমে অতিরিক্ত বাস দীঘা রুটে
ইৎসবের মরশুমে বাড়তি বাস চ্যানেলের সিদ্ধান্ত নীল এসবিএসটিসি। হ্যাঁ ঠিকই দেখছেন, দুর্গাপুজোর সময় একঝাঁক অতিরিক্ত বাস চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যেমনটা খবর পাওয়া যাচ্ছে এমনিতে দিনে ৪০-৪৫ টির মত সরকারি বাস চলাচল করে দীঘার উদ্দেশ্যে। তবে এবার পুজোয় ৫৫ থেকে ৬০টি বাস চালানো হবে বলে জানা যাচ্ছে।
আসলে দীঘারুটে দুটি ট্রেন থাকলেও প্রায় প্রতিদিনই লেট হচ্ছে ট্রেন। তাই ট্রেনের থেকে বাসে চলে যাওয়াটাই শ্রেয় বলে মনে করছেন অনেকেই। সেই কারণে বাসের টিকিটের ডিমান্ড বেড়েছে অনেকটাই। এই জন্যই অতিরিক্ত বাস চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। তাছাড়া এমনিতেও বছরের এই সময়টাই বাসের সংখ্যা বাড়ানো হয়ে থাকে।
এই প্রসঙ্গে SBSTC এর দীঘা ডিপোর ইনচার্জ সোমনাথ ঘোষের সাথে কথা বলা হয়েছিল। তিনি জানান, পুজোর কদিন দীঘাতে পর্যটকের সংখ্যা অনেকটাই বেড়ে যায়। তাই পর্যটকদের ভিড় সামালদিতে অতিরিক্ত বাস চালানো হয়। তাই এবছরেও মহালয়া থেকে লক্ষীপুজো পর্যন্ত অতিরিক্ত বাস চালানো হবে।
প্রসঙ্গত, দীঘাকে পর্যটকদের কাছে আরও আকর্ষণীয় ও নিরাপদ করে তোলার জন্য সর্বদাই কাজ চলছে। প্রশাসনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে অতিরিক্ত ভিড়ের কথা মাথায় রেখে বিচে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। রাতেও চলছে টিম উইনার্সের পেট্রোলিং। একইসাথে পুলিশের অধিকারিকেরাও মাঝেমধ্যেই রাউন্ডে বেরোচ্ছেন নিরাপত্তার স্বার্থে। এছাড়া দীঘা রেলস্টেশনের কাছেই চলছে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের আদলে জগন্নাথ ধাম তৈরির কাজ। আশা করা হচ্ছে এই মন্দির চালু করে দেওয়া হলে পর্যটকদের সংখ্যা আরও বাড়বে।