পার্থ মান্নাঃ ৯ই আগস্টের রাত আজ কলাটা তো বটেই বাংলা সহ গোটা দেশের কাছে বিভীষিকাময়। এই দিন রাতেই আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ধর্ষণ করে খুন করা হয় তিলোত্তমাকে। এমন একটা জঘন্য অপরাধের কথা জানতে পেরে দোষীদের দ্রুত শাস্তির দাবিতে পথে নেমেছে হাজারো সাধারণ মানুষ থেকে সেলিব্রিটিরাও। ঘটনার একদিন পরে ১০ই আগস্টেই CCTV ফুটেজের ভিত্তিতে গ্রেফতার হয় সিভিক ভলিন্টিয়ার সঞ্জয় রায়। কিন্তু একার পক্ষে এমনটা ঘটানো সম্ভব হল কি করে? এর তদন্ত চলছে এখন।
আরজি কর কাঁদে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য
ইতিমধ্যেই সঞ্জয় রায় ছাড়াও কলেকের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ ও টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করেছে CBI। সন্দীপ ঘোষের অ্যারেস্ট হওয়ার খবরে খুশি আন্দোলনরত জুনিয়ার ডাক্তার থেকে শুরু করে আমজনতা। তবে এবার তিলোত্তমা কাণ্ডে উঠে এল চমকে দেওয়ার মত তথ্য। কেন খুন হতে হয়েছিল তাকে? তার কারণ হিসাবে উঠে আসছে ১৫ লক্ষ টাকা।
খুনের নেপথ্যে ১৫ লক্ষ টাকা?
কলকাতার আরজি কর কান্ড নিয়ে বর্তমানে CBI তদন্ত করছে। সেখানেই জানা গেল তিলোত্তমাকে নাকি ১৫ লক্ষ টাকা দিতে হত নিজের গবেষণাপত্র জমা করার জন্য। যেটা পরীক্ষায় পাশ কার ‘ফিস’ হিসাবে দিতে হত। যেটা দিতে মোটেই রাজি ছিলেন না তিনি। কিন্তু প্রশ্ন হল কাদের থেকে এমন আদেশ মিলেছিল?
টাকা দিয়ে ডাক্তারি পাশ করানো বিরুদ্ধেই ছিল তিলোত্তমা। যে কারণে বিগত দেড় বোকার ধরে হাসপাতালে ডিউটি কারকালীন একাধিকভাবের হেনস্থা করা হয়েছে তাকে। নিজের বন্ধুদের কাছেও নাকি একথা জানিয়েছিল সে। এখানেই শেষ নয়, হাসপাতালের উর্ধতন কতৃপক্ষকে সবটা জানিয়ে অভিযোগের কথাও বলেছিল সে। যদিও কাকে জানানো হবে সেটা স্পষ্ট নানা যায়নি। তবে এই তথ্য প্রকাশ পাওয়ার পর রীতিমত শোরগোল পরে গিয়েছে।
আরও পড়ুনঃ একটাও ভুয়ো কার্ড থাকবে না! দেশের ৮০ কোটি ফ্রি রেশন উপভোক্তাদের জন্য নিয়ম জারি কেন্দ্রের
লিফ্ট রহস্য ও রাত ১২টার পর একাধিকবার দোতলা থেকে ৬ তলা যাতায়াত
তবে এখানেই শেষ নয়, ঘটনার দিন রাত্রি ১ ২ টার পর নাকি একাধিকবার দোতলায় থাকা বার্ন ইউনিট থেকে ছয় তলায় জেনারেল মেডিসিন সেকশনে একাধিকবার যাতায়াত করতে দেখা গিয়েছিল তিলোত্তমাকে। প্রায় ৩৫০ জনের বয়ান থেকে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছানো গিয়েছে। কিন্তু কেন এতবার যাতায়াত করেছিলেন তিনি? এদিকে হাসপাতালের ভেতরে ডাক্তারদের জন্য একটা লিফ্ট ছিল। সেদিন রাতে নাকি সেটাও চালু করা ছিল। এই সমস্ত বিষয় নিয়েই এখন খুঁটিয়ে তদন্ত করে চলেছে সিবিআই আধিকারিকেরা।