পার্থ মান্নাঃ ডিভিসি জল ছাড়তেই ভেসে গিয়েছে দক্ষিণের বিস্তীর্ন এলাকা। হুগলির পাঁশকুড়া থেকে গোঘাট, আরামবাগ, পশ্চিম মেদিনীপুর জলমগ্ন। তাই বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনে হাজির হয়েছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হাওড়া থেকে হুগলির বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শনও করেন। সেখান থেকেই আগামী দু বছরের মধ্যে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান এর কাজ শেষ করার কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। আজ রাতে সম্ভবত মেদিনীপুর সার্কিট হাউসে থাকবেন তিনি।
বন্যা কবলিত এলাকা ঘুরে দেখার পর মুখ্যমন্ত্রী জানান, ঘটালে যতটা আমরা এসেছে তার আগে আর যাওয়া যাচ্ছে না। এবছর অনেক বেশি জল ছাড়া হয়েছে। হাত জোর করে অনুরোধ করেছিলাম কিন্তু তও ৩,৫০,০০০ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে ডিভিসি থেকে। ২০০৯ সালের পর থেকে এত জল কখনো ছাড়া হয়নি। এটা একটা ‘ম্যান মেড বন্যা’।’
এদিন মমতা আরও বলেন, ফারাক্কা ও ডিভিসিতে ড্রেজিং হয় না। যদি সেটা হল তাহলে আরও ২ লক্ষ কিউসেক জল ধরে রাখা যেত, ছাড়ার প্রয়োজন পড়ত না। হাত জোর করে অনুরোধ করা হয়েছিল পরশু দিনেই যাতে জল না ছাড়া হয়। ঝাৰখন ও অন্য রাজ্যকে বাঁচাতে গিয়ে বাঙালেক বঞ্চনা করা হচ্ছে। তাছাড়া আজ ২০ বছর ধরে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আটকে পড়ে রয়েছে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান। এবার রাজ্যের তরফ থেকেই সেই কাজ করা হবে। এর জন্য অন্তত দু বছর সময় লাগবে, আর প্রায় ১৫০০ কোটি টাকা খরচ হবে।
ইতিমধ্যেই বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলার কাজ শুরু করা হয়েছে। ১০,০০০ ত্রিপল থেকে শুরু করে শাড়ি, ধুতি ও চাদর দেওয়া হচ্ছে। একইসাথে বাঁধ মেরামতির কাজও দ্রুত শুরু করার জন্য নজর রাখা হচ্ছে। পরিস্থিতি একটু সামলে উঠলেই কাজ শুরু হবে। তবে ইতিমধ্যেই বন্যার জেরে এক নাবালকের প্রাণ চলে গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ সৌরভ গাঙ্গুলিকে বাজে ভাষায় আক্রমণ! সিনে বাপের বিরুদ্ধে সাইবার ক্রাইমে অভিযোগ করলেন ‘দাদা’
প্রসঙ্গত, মমতার মন্তব্যের পাল্টা কটাক্ষ করতে ছাড়েননি শুভেন্দু অধিকারীও। তিনি জানান, দোষারোপের এই খেলা পুরোনো হয়ে যাচ্ছে। প্রতি বছর এই সময় এসব বলেন আপনি। কিন্তু সত্যিটা হল এই যে আপনার সরকারের সেচ দফতর চূড়ান্ত ব্যর্থ। বন্যা পরিস্থিতি আটকাতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে বিশ্ব ব্যাঙ্ক ৫০০০ কোটি টাকা লোন দিয়েছিলম, যার সিংহভাগ ব্যবহার হয়ে গেছে। কিন্তু ফলাফল কি? তাই নজর ঘোরানোর চেষ্টা বন্ধ করুন!’