পার্থ মান্নাঃ ভাদ্র মাসে অতিবৃষ্টি থেকে শুরু করে ডিভিসি জল ছাড়ার কারণে বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে বন্যার সৃষ্টি হয়েছে রাজ্যে। এমন্তাবস্থায় হাওড়া, হুগলি, বর্ধমান, বাঁকুড়া থেকে শুরু করেপশ্চিম বর্ধমান, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনিপুরের মত জেলায় ব্যাপক চাষের ক্ষত হয়েছে। কারণ বন্যা হওয়ার কারণে বিঘার পর বিঘা ধান জমি এখন জলের তলায়। যদিও এখনই ক্ষয়ক্ষতির সঠিক আন্দাজ করা সম্ভব নয়, জল নাম পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
বন্যা পরিস্থিতির জেরে বিরাট ক্ষতি চাষে
এই ধরণের পরিস্থিতির জন্যই বাংলার কৃষিকদের জন্য রাজ্য সরকারের তরফ থেকে বাংলা ফসল বীমা যেওনা প্রকল্প রয়েছে। যে সমস্ত কৃষিকেরা নিজেদের জমি এই প্রকল্পে রেজিস্ট্রেশন করিয়ে রেখেছেন। যার ফলে ক্ষতি হলেও সেটা পূরণ হয়ে যাবে ইন্সুরেন্সের দৌলতে। ইতিমধ্যেই নাম নেওয়ার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। আগামী ৩০শে সেপ্টেম্বরের মধ্যেই ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের নামের তালিকা তৈরী করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কৃষিমন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়ের তরফ থেকে।
বাংলা শস্য বীমা প্রকল্পে ক্ষতিপূরণ পাবেন সকল কৃষিকেরা
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে সকল কৃষককেই বাংলা শস্য বীমা যোজনার সুবিধা দেওয়া হবে। কৃষি দফতরের সচিব অংকের সিং মিনা ও অন্যান্য অধিকারকদের সাথে এই মর্মে বৈঠক করেছেন রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী। আগেই বলেছি যে ৩০ শে সেপ্টেম্বরের মধ্যে নাম তোলা হয়। এর জন্য সরকারের তরফ থেকেই ক্যাম্প বসানো হবে বলে জানা যাচ্ছে। এরপর রবি মরশুমের বিকল্প সময় চাষের জন্য আগামী ১৫ অক্টোবরের মধ্যেই সর্ষে ও ডালের বীজ বিতরণ করা হবে কৃষকদের মধ্যে।
কতটাকা ক্ষতিপূরণ পাওয়া যাবে?
প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ফসলের ক্ষতি হলে কৃষকদের যাতে কোনো অসুবিধা না হয় তার জন্য বাংলা শস্য বীমা চালু করা হয়েছে। সরকারের তরফ থেকেই এই বীমার প্রিমিয়াম দেওয়া হয়, কৃষকদের এক টাকাও দিতে লাগে না। ফসলের কতটা ক্ষতি হয়েছে তার উপর নির্ভর করেই ক্ষতিপূরণের টাকা দেওয়া হয়ে থাকে। এবহকার বন্যার জেরে যাদের ক্ষতি হয়েছে। জল নাম গেলেই ক্ষতির পরিমাপ করা হবে। তারপর কৃষকদের অ্যাকাউন্টে সরাসরি ক্ষতিপূরণের টাকা পাঠিয়ে দেওয়া হবে।