পার্থ মান্নাঃ আর কিছুদিন পরেই দুর্গাপুজো তবে তার আগেই ডিভিসি জল ছাড়ায় বন্যা পরিস্থিতি দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায়। ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamaa Banerjee) নিজে গিয়ে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাপ করেছেন। সমস্তটা দেখার পর এই বন্যাকে মেনমেড বলে আখ্যা দিয়ে ডিভিসি এর দিকে তুলতে গেছেন তিনি। এমনকি ডিভিসির (DVC) সাথে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করার কথা শোনা গিয়েছে।
বন্যার ফলে একদিকে যেমন বহু মানুষ ঘর ছাড়া বা নিজের ঘর হারিয়েছেন তেমনি চাষবাসের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তাই ইতিমধ্যেই বাংলা শস্য-বীমা প্রকল্পের দ্বারা কৃষকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য নামের তালিকা তৈরি কাজ শুরু করার আদেশ দেওয়া হয়ে গিয়েছে। এছাড়াও বন্যার ফলে যে ২৮ জুনের মৃত্যু হয়েছে তাদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
তবে এখানেই শেষ নয়, বন্যার ফলে যাদের বাড়িঘর ভেঙ্গে গিয়েছে তাদের সরকারের তরফ থেকে বাড়ি করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বীরভূমে প্রশাসনিক বৈঠক থেকে বেরিয়ে মমতা জানান, বন্যার ফলে যে বাড়ি ঘর ভেঙে গিয়েছে সেই ১-২ লক্ষ বাড়ি আমরা করে দেবো। একই সাথে ডিবিসির জল ছাড়ার কারণেই বন্যা হয়েছে বলে ফেরত দেখালেন মুখ্যমন্ত্রী।
বর্তমানে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে অবশ্য কেন্দ্রীয় সরকারকেও নিশানা করেছেন মমতা । তার মতে, বিবেচিত কেন্দ্রের অধীনস্থ সংস্থা কেন্দ্র কিছু না করার জন্যই আজ বন্যা হয়ে মানুষের এত ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। নির্বাচনের জন্য যে পরিমাণ টাকা খরচ হয় তার ১% টাকা দিলেও বন্যা আটকানোর ব্যবস্থা করতে পারতাম। তবে এদিন দুর্গতদের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ আবারও রেল দুর্ঘটনা! উত্তরবঙ্গে লাইনচ্যুত ৫ বগি, ব্যাহত ট্রেন চলাচল
প্রসঙ্গত, এবছর অনেকটাই দেরিতে এসেছিল বর্ষা। তবে অগাস্ট থেকে সেপ্টেম্বর মাসে যা বৃষ্টি হয়েছে তাতেই রীতিমত নাজেহাল দশা বঙ্গবাসীর। মাঝে দু দুদিনের জন্য বৃষ্টি কমলেও ফের বঙ্গোপসাগরে তৈরী হওয়া নিম্নচাপের জেরে বৃষ্টির আশঙ্কা তৈরী হয়েছে বলে জানাচ্ছে হাওয়া অফিস। ইতিমধ্যেই হলুদ সতর্কতাও জারি করা হয়েছে একাধিক জেলায়। তবে পুজোর আগে যাতে জল নেমে গিয়ে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয় সেটাই আশা।