পার্থ মান্নাঃ বাঙালির ‘দিদি নং ১’ হিসাবে পরিচিত রচনা ব্যানার্জী। জি বাংলার গেম শো এর দৌলতে বর্তমানে সকল ঘরে ঘরে পৌঁছে গিয়েছেন তিনি। তার উপর ভোটে জিতে অভিনেত্রী থেকে নেত্রী হয়ে গিয়েছেন রচনা। কিন্তু এবার তার নিজের কথার জেরেই সোশ্যাল মিডিয়াতে শুরু হয়েছে কটাক্ষ। কিউসেক আর কুইন্টাল এর মধ্যে কি পার্থক্য সেটা নাকি জানেন না অভিনেত্রী! কিন্তু ব্যাপারটা কি?
সম্প্রতি ডিভিসি থেকে জল ছেড়ে দেওয়ার কারণে দক্ষিণের কিছু জেলায় বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। খোদ মুখ্যমন্ত্রী সেই সমস্ত এলাকা ঘুরে দেখেছেন, তারপর তোপ দেগেছেন ডিভিসির কারণেই এই বন্যা হয়েছে। এবার সেই সুরেই সুর মিলিয়ে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করলেন রচনাও। কিন্তু সেখানেই ঘটল বিপত্তি।
সাংবাদিকদের মুখোমুখিই হয়ে রচনা বলেন, ‘কুইন্টাল কুইন্টাল জল বেরিয়ে আসছে। মানুষের থাকার বাড়ি ঘর কিছুই নেই! সবাই রাস্তায় বেরিয়েছে আর ডিভিসি বলছে নাকি জানিয়ে পাঠিয়েছে।’ এখানেই শেষ নয়, তিনি আরও বলেন সত্যিটা ঠিক কি সেটা এই মুহূর্তে তাঁর জানা নেই। তবে যেটা হয়েছে মোটেই ঠিক হয়নি।
এরই মাঝে কিউসেককে কুইন্টালের সাথে গুলিয়ে ফেলে শুরু হয়েছে কটাক্ষ। হুগলির জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর উচিত হুগলির সংসদ রচনা ব্যানার্জীকে মিউজিয়ামে রাখা। একজন সংসদ হয়ে বলছেন কেন্দ্রীয় সরকার নাকি কুইন্টাল কুইন্টাল জল ছাড়ছে। জল আবার কবে থেকে কুইন্টাল মাপা শুরু হল? ওনার নূন্যতম জ্ঞান নেই, সেই কারণেই ভুলভাল বকছেন। কোপানে অনেকেই দুঃখ আছে সাধারণ মানুষের’।
প্রসঙ্গত, এবছর বৃষ্টি দেরিতে এলেও আগস্টের শেষ ও সেপ্টেম্বর মাসের প্রায় পুরুটাই কমবেশি করে ভালো বৃষ্টিপাত হয়েছে। তার উপর DVC এর তরফ থেকে জল ছেড়ে দেওয়ায় ভেসে গিয়েছে হুগলির বহু গ্রাম। এমনকি সরকারি হিসাব মতে ২৮ জন মানুষের প্রাণ চলে গিয়েছে এই বন্যার জেরে। সরকারের তরফ থেকে সমস্ত মৃতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা করা হয়েছে। একইসাথে যাদের বাড়িঘর বন্যায় চলে গেছে তাদের বাড়ি করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।