পার্থ মান্নাঃ গরিব মানুষদের মাথার উপর ছাদ দেওয়ার জন্য বদ্ধপরিকর সরকার। রাজ্য সরকার ও কেন্দ্রীয় সরকারের যৌথ প্রচেষ্টায় আবাস যোজনা চালু হয়েছে যার ফলে লক্ষ লক্ষ মানুষ নিজের পাকা বাড়ির স্বপ্ন পূরণ করেছেন। তবে মাঝে মাঝেই রাজ্য বনাম কেন্দ্র লড়াই প্রকাশ্যে আসে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের প্রাপ্য টাকা দিচ্ছে না কেন্দ্র বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এই যেমন DVC জল ছাড়ার পরেই কেন্দ্রকে তোপ দেগেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার কেন্দ্রকে নিয়ে ফের সরব তিনি।
আবাস যোজনা নিয়ে বড় ঘোষণা রাজ্য সরকারের
মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ আবাস যোজনার টাকা কেন্দ্রের তরফ থেকে দেওয়া হয়নি। তাই রাজ্য আর কেন্দ্রের উপর ভরসা করে বসে থাকবে না। গতকাল অর্থাৎ বুধবার নবান্নে একটি বন্থক হয়। সেখানেই জানানো হয়, আগামী ডিসেম্বর মাসেই আবেদনকারীদের আবাস যোজনার টাকা দেওয়া শুরু হবে। যাদের ইতিমধ্যেই লিস্টে নাম এসে গিয়েছে তাদের টাকা দেওয়া হবে। একইসাথে যারা আবেদন করেছেন ও ওয়েটিং লিস্টে আছেন তাদের নামও দেখা হবে।
কত টাকা দেওয়া হবে?
নবান্ন থেকে যেমনটা জানানো হয়েছে তাতে দু দফায় টাকা দেওয়া হবে। প্রথম দফায় ৬০ হাজার টাকা দেওয়া হবে। পরবর্তীকালে দ্বিতীয় দফায় বাকি টাকাটা দেওয়া হবে। বাসস্থানের জমির ভিত্তিতে টাকার পরিমাণ আলাদা হবে। যারা সমতল এলাকায় থাকেন তাদের মোট ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা দেওয়া হবে আর যারা অসমতল বা প্রত্যন্ত এলাকায় বাড়ি করবেন তাদের ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা দেওয়া হবে।
কবে ঢুকবে আবাস যোজনার টাকা?
যেমনটা জানা যাচ্ছে, আগামী ২১ থেকে ৩০ অক্টোবরের মদঃয়েই বাড়ির সমীক্ষা শেষ করতে হবে বলে গাইডলাইন জারি করা হয়েছে। এরপর ক্রস চেকিংয়ের কাজ শুরু হবে। যেটা ১৪ ই নভেম্বরের মধ্যে শেষ হবে। তারপর সমস্ত তথ্য BDO, SDO ও জেলাশাসকের অফিসে পাঠানো হবে ও ফাইনাল তালিকা ওয়েবসাইটে ডিসপ্লে করে দেওয়া হবে। এখন থেকেই নিজেদের আবাস যোজনার স্ট্যাটাসও দেখতে পারবেন সবাই। তার জন্য অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে নিজের অ্যাপ্লিকেশন নাম্বার দিয়ে সার্চ করতে হবে।
নাম চলে এলেই ধরে নিন আপনার টাকা ডিসেম্বর মাসে ঢুকে যাবে। এক্ষেত্রে বলে রাখা ভালো ১৩ ডিসেম্বর নাগাদ জেলা কমিটি থেকে নামের তালিকার অনুমোদিন দেওয়া হবে। আর ২০ ডিসেম্বর থেকেই টাকা পাঠানোর পক্রিয়া শুরু হবে।
কারা আবেদন করলেও টাকা পাবেন না?
যারা আবেদন করেছেন তাদের মধ্যে কিছু জনের নাম বিভিন্ন ক্রোন বাতিল হয়ে যেতে পারে। যেমন কোনো ব্যক্তির নাম মেজদি আড়াই একর বা তার থেকে বেশি সেচযুক্ত কৃষি জমি থাকে তাহলে টাকা পাওয়া যাবে না। এছাড়া যদি ৫ একর সেচ ছাড়া কৃষি জমি থাকে তাহলেও টাকা দেওয়া হবে না।
এখানেই শেষ নয়, যদি তিন চাকার ক্রিস যন্ত্র বা তিন / চার চাকার গাড়ি থাকে তাহলেও টাকা পাওয়া যাবে না। আর যদি ব্যক্তির মাসিক আয় ১৫০০০ এর বেশি হয় ও ইনকাম ট্যাক্স দিতে হয় তাহলেও টাকা পাওয়া যাবে না।