পার্থ মান্নাঃ আর মাত্র ১ দিন বাকি মহালয়া আসতে। তারপরেই দুর্গাপুজো। এই সময় কেউ ব্যস্ত হয়ে পড়েন বন্ধুদের সাথে আড্ডা থেকে ঠাকুর দেখতে তো কেউ আবার ঘুরতে যেতে ভালোবাসেন। কিছুজন সমুদ্রে যেতে চান তো কেউ আবার ভালোবাসেন পাহাড়। তবে এমনও কিছু মানুষ আছেন যারা জঙ্গল আর অ্যাডভেঞ্চার লাভার। তাই আজ আপনাদের জন্য রইল কলকাতার কাছেই এক জঙ্গলের হদিশ। যেখানে গেলে গা ছমছমে পরিবেশ থেকে গজরাজের দেখাও মিলতে পারে।
ভাবছেন কলকাতার কাছেই এমন জায়গা কোথায়? তাহলে চলুন যাওয়া যাক পশ্চিম মেদিনীপুরের ছোট্ট গ্রাম গুড়গুড়িপালে। সেখানেই রয়েছে শাল, সেগুন থেকে আকাশমণি গাছের জঙ্গল। কাছেই রয়েছে কাঁসাই নদী। মেদিনীপুর থেকে মাত্র ১৩ কিমি দূরের এই জঙ্গলে একটা রাত অ্যাডভেঞ্চার করতেই পারেন।
অবশ্য শুধুই যে জঙ্গলের অ্যাডভেঞ্চার তা কিন্তু নয়। কাছেই রয়েছে একটি ইকো পার্ক। সেখানেও ঘুরে আসা যেতেই পারে। বিশেষ করে আপনি যদি হন বার্ড লাভার তাহলে জার্ডন’স নাইটজ়ার, জাঙ্গল আওলেট, ইন্ডিয়ান পিট্ট এর মত একাধিক পাখির দেখা পেতে পারেন জঙ্গলেই।
এছাড়াও এখানে দর্শনীয় স্থানের মধ্যে কাছেই রয়েছে পাথরা গ্রাম। সেখানে প্রচুর মন্দির রয়েছে। এমনকি ৪০ কিমি যাওয়র মত কোনো গাড়ির ব্যবস্থা করতে পারলে ঝাড়গ্রামের রাজবাড়ি থেকে শুরু করে কনকদুর্গা মন্দির ঘুরে আসতেই পারেন। এমনকি বাংলার ‘গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন’ গনগনি থেকেও ঘুরে আসতে পারেন।
কিভাবে যাবেন গুড়গুড়িপাল?
কলকাতা থেকে গুড়গুড়িপাল যেতে চাইলে আপনি ট্রেনে বা প্রাইভেট গাড়ি যে কোনো উপায়েই পৌঁছে যেতে পারেন। যদি ট্রেনে যেতে চান তাহলে আপনাকে প্রথমেই পৌঁছাতে হবে মেদিনীপুর শহরে। তার জন্য হাওড়া থেকে যে কোনো দূরপাল্লার ট্রেনে উঠে পড়তে পারেন যেটা মেদিনীপুর দাঁড়ায়। তারপর স্টেশনে নেমে একটা টোটো বা কোনো গাড়ি ভাড়া করে ধেড়ুয়াগামী রাস্তা দিয়ে গোপগর পেরোলেই সামনে দেখতে পাবেন গুড়গুড়িপালের জঙ্গল।
গুড়গুড়িপাল পৌঁছে কোথায় থাকবেন?
অফবিট জায়গা তার মধ্যে জঙ্গল এলাকা হওয়ায় হোটেল তেমন একটা নেই। তবে জঙ্গলের কাছেই বেসরকারি এক নেচার ক্যাম্প চালু হয়েছে। সেখানেই জঙ্গলের মাঝে তাঁবুতে থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়া আর কোনো থাকার জায়গা নেই বললেই চলে। তবে সকালে ঘুরে বিকালে ফিরে আসতে চাইলে মেদিনীপুর স্টেশন এলাকায় হোটেল ভাড়া করে থাকতেই পারেন।