পার্থ মান্নাঃ একদিকে একটানা বৃষ্টি, তার উপর ডিভিসি এর জল ছাড়ার কারণে বন্যার সৃষ্টি হয়েছে দক্ষিণের একাধিক জেলায়। এমতাবস্তায় দুর্গত মানুষের জন্য পাঠানো হয়েছে ত্রাণ সামগ্রী। যার মধ্যে রয়েছে ত্রিপল। সরকারি ত্রাণে পাঠানো এই ত্রিপল শুধুমাত্র বানভাসি মানুষদের জন্য যাওয়ার কথা। কিছু জায়গায় ত্রিপলের জন্য রীতিমত কাড়াকাড়ি করতেও দেখা গিয়েছে মানুষকে। তবে এবার সেই ত্রিপলই নাকি বিক্রি করছে এক ফেরিওয়ালা।
হ্যাঁ ঠিকই দেখছেন বিশ্ব বাংলা থেকে রাজ্য সরকারের লোগো দেওয়া সরকারি ত্রানের ত্রিপল বিক্রি হচ্ছে ফেরিওয়ালার কাছে। স্থানীয় একজনের মতে ৩০০ তাকে একটি ত্রিপল কেনা হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই এমন কান্ড নজরে আসতেই পাকড়াও করা হয়ে ওই ব্যক্তিকে। মালদার বৈষ্ণব নগরে এই ব্যক্তি নিজের মটরসাইকেলের পিছনে একগাদা ত্রিপল বেঁধে বিক্রি করছিলেন। তাকে প্রশ্ন করা হয় যে কিভাবে এই ত্রিপল পেলেন তিনি? উত্তরে মুখ খুলেছেন তিনি।
ফেরিওয়ালা জানান, অনেক এমন মানুষ আছেন যারা ত্রিপল পেলেও কাজ লাগান না। বরং কিছু টাকার জন্য বিক্রি করে দেন। সেই ধরণের লোকের থেকেই ত্রিপল কিনে এনে বিক্রি করছিলেন তিনি। কিন্তু এই যুক্তি মোটেই মানতে নারাজ স্থানীয়রা। বরং তাদের অনীকের দাবি গ্রাম পঞ্চায়েতের তরফ থেকেই নাকি ত্রাণে বিলি করার বদলে এভাবে বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে ত্রিপল বা দুর্নীতির ইঙ্গিত দিচ্ছেন তাঁরা।
এই ঘটনার পর তৃণমূলের তরফ থেকে বিজেপির উপর দায় চাপানো হচ্ছে। তৃণমূলের মতে, বিভিন্ন জায়গায় স্থানীয়দের দিয়ে ত্রাণ সামগ্রী লুঠ করিয়ে সেগুলো বিক্রি করা হচ্ছে। এভাবেই নাকি খোলা বাজারে হাজরি হয়েছে ত্রিপল। যদিও এর পাল্টা বিজেপির মত, কারা ত্রাণের চাল আর ত্রিপল চুরি করছে ষ্ট গোটা বিশ্বের মানুষ জানে। নেতারাই খোলা বাজারে ত্রাণের জিনিস বিক্রি করছে আর দুর্গত মানুষেরা বঞ্চিত হচ্ছেন।
সরকারি ত্রিপল বাজারে বিক্রির ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর কালিয়াচকের ভিডিও মুখ খুলেছেন। তাঁর মতে, ‘একজন সরকারি ত্রাণের ত্রিপল বিক্রি করছিল। ওই ব্যক্তিকে চিহ্নিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। খোঁজ মিললেই কোথা থেকে কিভাবে ত্রিপল পেয়েছেন সেটা জানা যাবে’।