পার্থ মান্নাঃ পরিবেশ রক্ষার স্বার্থে কলকাতায় ১৫ বছরের বেশি বয়সের বাস চালানো যাবে না নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। ২০০৯ সালের এই নির্দেশিকা অনুযায়ী ১ লা অগাস্ট থেকেই পুরোনো বাস বাতিলের কাজ শুরু করেছে পরিবহদ দফতর। কিন্তু এখানেই সমস্যা শুরু হয়েছে বাস মালিকদের সাথে।
বাসের মেয়াদ ১৫ বছরের বদলে ২০ বছর করতে হবে এই মর্মে আবেদন জানানো হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। আগামীকাল অর্থাৎ মঙ্গলবারই এই মামলার শুনানি আসতে পারে। যদি মেয়াদ বাড়ানো হয় তাহলে পুরোনো বাস যেমন চলাচল তেমন দিব্যি চলবে। কিন্তু যদি সেটা না হয় তাহলে কলকাতার রাস্তায় বাসের সংখ্যা বেশ কিছুটা কমে যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। অবশ্য ৫ বছর না বাড়ালেও অন্তত ২ বছর মেয়াদ বৃদ্ধির দাবি করা হয়েছে আবেদনে।
কিন্তু প্রশ্ন হল কেন মেয়াদ বৃদ্ধির দাবি উঠছে? এর কারণ হিসাবে জানা যাচ্ছে করোনা সংক্রমণকালে লোকডাউনে খারাপ পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে গিয়েছে পরিবহন ব্যবস্থা। প্রায় দুবছর বেহাল দশা ছিল পরিবহন শিল্পের। তাই এই মুহূর্তে পুরোনো বাস বাতিল করলে নতুন বাস নামানোর মত পরিস্থিতি নেই বলেই দাবি বাস মালিকদের। কারণ নতুন বাসের জন্য মোটা টাকা কিস্তি লাগবে সেটা এই মুহূর্তে করা সম্ভব নয়। তাই অন্তত ২ বছর মেয়াদ বাড়ানো হোক এই দাবি করা হয়েছে।
এই প্রসঙ্গে, পরিবহন মন্ত্রী জানান, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশিকা অনুযায়ী ১৫ বছরের বেশি বয়সের বাস বা গাড়ি কলকাতায় চালানো যাবে না। তাই বেসরকারি বাস সংগঠনের দাবি মণ সম্ভন নয়। এই বক্তব্যের পরেই বেঙ্গল বাস সিন্ডিকেট, জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিন্ডিকেট ও ওয়েস্ট বেঙ্গল বাস অ্যান্ড মিনিবাস ওনার্স এই তিন সংগঠন মাইল আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে।
বাস সংগঠনের মতে, একটা প্রাইভেট বাস যেটা ডিজেলে চলে সেটা রাস্তায় নামাতে গেলে ৩০ লক্ষ খরচ। ইলেকট্রিক বাস হল সেটা প্রায় ডাবল ৬০ লক্ষ থেকে ৬৫ লক্ষ টাকা খরচ হয়। করোনাকালে যেখানে ব্যাপক লস হয়েছে সেখানে এতবড় বিনিয়োগ করা সম্ভব নয়। তাই কালকের শুনানির দিকেই তাকিয়ে রয়েছে বাস সংগঠন থেকেই বাস মালিকেরা।