ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (BCCI) জন্য আইপিএল (IPL) শুধুমাত্র একটি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট নয়, বরং দেশের ক্রিকেটের উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক ভিত্তি তৈরির একটি মূল উৎস। এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বোর্ড যে রোজগার করে, তা ঘরোয়া ক্রিকেট এবং অন্যান্য ক্রিকেট উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে বিনিয়োগ করা হয়। এখন সৌদি আরবও আইপিএলে বিনিয়োগের জন্য আগ্রহী হয়ে উঠেছে। যা দেশের ক্রিকেটের জন্য একটি নতুন চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করছে। তাছাড়া ২০২৫ সালের আইপিএল সৌদি আরবেই আয়োজিত হতে চলেছে।
আইপিএলের অর্থনৈতিক গুরুত্ব
ভারতের ক্রিকেটের উন্নতির জন্য আইপিএলের অর্থনৈতিক ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ২০২৪ সালে আইপিএলের বাজার মূল্য ৮৪,০০০ কোটি টাকায় পৌঁছেছে। এর মধ্যে আইপিএলের ব্র্যান্ড ভ্যালু ২০২২ সালে ১৫,০৯০ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ২০২৩ সালে ২৬,৮২৭ কোটি টাকা হয়েছে। চলতি বছর, ২০২৪-এর নিলামের আগে এই মূল্য ২৮,৫০৩ কোটি টাকায় পৌঁছেছে। অর্থাৎ ভবিষ্যতে যে বাজার মূল্য আরও বাড়তেই থাকবে সেটা বোঝাই যাচ্ছে।
দল | ব্র্যান্ড ভ্যালু (কোটি টাকা) |
---|---|
চেন্নাই সুপার কিংস | ১৯৩৭ |
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু | ১৯০৩ |
কলকাতা নাইট রাইডার্স | ১৮১১ |
মুম্বই ইন্ডিয়ান্স | ১৭১০ |
রাজস্থান রয়্যালস | ১১১৫ |
সানরাইজার্স হায়দরাবাদ | ১১০৬ |
দিল্লি ক্যাপিটালস | ১০৯৮ |
গুজরাত টাইটান্স | ১০৪০ |
পঞ্জাব কিংস | ৮৪৭ |
লখনউ সুপার জায়ান্টস | ৭৬৩ |
সৌদি আরবের আগ্রহ
সৌদি আরব গত বছর থেকেই আইপিএলে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছে। তারা বোর্ডের সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনা করে ৪২,০০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করতে চেয়েছিল, তবে প্রতিযোগিতার মালিকানার কিছু অংশ নিজেদের হাতে রাখতে চাইছিল। সৌদি সরকারের লক্ষ্য ছিল আইপিএলকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়া, যা বোর্ডের কর্তাদের কাছে অগ্রাধিকার নয়।
বোর্ডের আপত্তি
বোর্ডের কর্তারা মনে করেন যে, বিদেশি সংস্থার মালিকানা আইপিএলের স্বায়ত্তশাসনকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। এক বোর্ড কর্তার মতে, “আইপিএলের মালিকানা যদি বেসরকারি সংস্থার হাতে চলে যায়, তাহলে একাধিক সমস্যা দেখা দিতে পারে।” তারা চান যে, IPL পুরোপুরি ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের অধীনে থাকবে। এতে ভারতের ক্রিকেটের উন্নতি ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকে।