রাজ্য সরকারের বিভিন্ন সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রায় বড়সড় প্রভাব ফেলেছে। বিশেষ করে নারীদের জন্য লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প ও প্রবীণ নাগরিকদের জন্য বার্ধক্য ভাতা প্রকল্প ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। এই দুই প্রকল্পের মাধ্যমেই লক্ষাধিক মানুষ নিয়মিত ভাতা পেয়ে আর্থিক সুরাহা পাচ্ছেন।
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের সাফল্য
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প শুরু হয় ২০২১ সালে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যের মহিলাদের মাসে মাসে ৫০০ টাকা থেকে ১০০০ টাকা পর্যন্ত ভাতা প্রদান করা হয়। ২৫ থেকে ৬০ বছর বয়সি মহিলাদের জন্য এই প্রকল্প তৈরি করা হয়েছে। বর্তমানে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন রাজ্যের প্রায় ১.৮৫ কোটি মহিলারা।
এই প্রকল্পের সফলতার অন্যতম কারণ হলো সরকারের নিয়মিত মনিটরিং ও আবেদনকারীদের দ্রুত ভাতা প্রদানের ব্যবস্থা। সাম্প্রতিক খবর অনুযায়ী, রাজ্য সরকার লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের উপকারভোগীদের সংখ্যা আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে। হয়তো পুজোর পরেই দুয়ারে সরকারের ক্যাম্প বসানো হবে। সেখানেই নতুন করে আবেদনকারীদের নাম নেওয়া হবে।
বার্ধক্য ভাতা প্রকল্প
রাজ্যের প্রবীণ নাগরিকদের জন্য ২০১০ সালে বার্ধক্য ভাতা প্রকল্প চালু করে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। ৬০ বছর বা তার ঊর্ধ্বে থাকা ব্যক্তিরা এই প্রকল্পের মাধ্যমে মাসিক ১০০০ টাকা পেয়ে থাকেন। কয়েক মাস আগেই জানানো হয়েছে যে, নতুন করে এই প্রকল্পে আরও ৫০,০০০ জন আবেদনকারীকে যুক্ত করা হবে। বর্তমানে ২০ লক্ষ ১৫ হাজার মানুষ বার্ধক্য ভাতার সুবিধা পাচ্ছেন। তবে নতুন তালিকা যুক্ত হলে এই সংখ্যা বেড়ে হবে ২০ লক্ষ ৬৫ হাজার।
সর্বশেষ আপডেট
বার্ধক্য ভাতা প্রকল্পে যেসব উপকারভোগী রয়েছেন, তাঁদের মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে ৬০ থেকে ৮০ বছর বয়সিদের জন্য ২০০ টাকা এবং ৮০ বছরের ঊর্ধ্বে থাকা ব্যক্তিদের জন্য ৩০০ টাকা প্রদান করা হয়। বাকী অর্থ রাজ্য সরকার থেকে দেওয়া হয়। এছাড়াও, বার্ধক্য ভাতার পরিমাণ ভবিষ্যতে আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা নিয়েছে রাজ্য সরকার। যদি সেটা বাস্তবায়িত হয় তাহলে সরকারকে ধন্য ধন্য করবে আমজনতা সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।