দুর্গাপুজোর আগমনে রোজ ভ্যালির (Rose Valley) আমানতকারীদের জন্য এল দারুণ এক সুখবর। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর রোজ ভ্যালি চিটফান্ড কেলেঙ্কারিতে (Rose Valley Chit Fund Scam) ক্ষতিগ্রস্ত আমানতকারীদের টাকা ফেরত দেওয়ার প্রক্রিয়া ফের একবার শুরু হয়েছে। পুজোর আনন্দের মাঝে এই খবর যেন মুখে হাসি ফুটিয়েছে আমানতকারীদের। অনেকেই ভাবেননি যে এত বছর পর তাঁরা আবার তাঁদের আমানত ফেরত পাবেন। বর্তমানে প্রায় পাঁচ কোটি টাকার মতো ক্ষতিপূরণের অর্থ ধাপে ধাপে বিতরণ করার পক্রিয়া চলছে।
রোজ ভ্যালি চিটফান্ড কেলেঙ্কারি: টাকা ফেরতের প্রক্রিয়া শুরু
রোজ ভ্যালি চিটফান্ড কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য আশার আলো জ্বালিয়েছে অ্যাসেট ডিসপোজাল কমিটি (ADC)। বিচারপতি দিলীপ কুমার শেঠের (অবসরপ্রাপ্ত) নেতৃত্বে পরিচালিত এই কমিটি প্রথম পর্যায়ে ৭,৩৪৬ জন আমানতকারীকে ৫.১২ কোটি টাকা বিতরণ করেছে। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ED) সহায়তায়, এই প্রক্রিয়া শুরু হয়। ইডি প্রথম ধাপে এডিসিকে ১৯.৪০ কোটি টাকা দিয়েছে, যা থেকে আমানতকারীদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হচ্ছে।
আদালতের নির্দেশে ক্ষতিপূরণ
গত আগস্টে কলকাতার একটি বিশেষ আদালত, প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট (পিএমএলএ) অনুসারে, এডিসিকে ১৯.৪০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ হিসেবে দেওয়ার নির্দেশ দেয়। জানা গিয়েছে, মোট ২৮.১০ লক্ষের মতো দাবি দায়ের করা হয়েছে, যার মধ্যে ৩১,৩৫২টি দাবি প্রক্রিয়াকরণ করা হয়ে গিয়েছে। প্রথম ধাপে ৭,৩৪৬ জন আমানতকারী তাঁদের প্রাপ্য অর্থ পেয়ে গিয়েছেন।
কিভাবে টাকা ফেরত পাবেন আমানতকারীরা?
রোজ ভ্যালির আমানতকারীদের জন্য একটি নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। টাকা ফেরতের জন্য তৈরি হয়েছে বিশেষ ওয়েবসাইট rosevalleyadc.com, যেখানে আমানতকারীরা তাঁদের তথ্য জমা দিয়ে আবেদন করতে পারেন। আবেদন জমা দেওয়ার পর নথিপত্র যাচাইয়ের ভিত্তিতে প্রাপ্য টাকা সরাসরি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঠানো হবে। তবে, পুরো প্রক্রিয়াটি আদালতের নজরদারিতে থাকবে। পুজোর আগেই আমানতকারীরা তাঁদের প্রথম পর্যায়ের টাকা পেয়ে যাবেন।
কীভাবে আবেদন করবেন:
- প্রথেম আপনাকে অফিসিয়াল ওয়েবসাইট (rosevalleyadc.com) এ চলে জেট হবে।
- এখানেই নিজের সমস্ত তথ্য জমা দিয়ে আবেদন করতে হবে।
- যদি আপনি একজন যোগ্য টাকা প্রাপক হন তাহলে আদালতের নির্দেশ অনুসারে আপনার প্রাপ্য টাকা সরাসরি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা হয়ে যাবে।
প্রসঙ্গত, রোজ ভ্যালিকাণ্ডের এই ক্ষতিপূরণের সুখবর নিঃসন্দেহে দুর্গাপুজোর আনন্দকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে। বহু মানুষ তাঁদের অর্থ ফেরত পাওয়ার আশায় ছিলেন, আর এই প্রক্রিয়া তাঁদের দীর্ঘদিনের অপেক্ষার অবসান ঘটাচ্ছে।