বাঙালির দুর্গাপুজোর প্রধান আকর্ষণ হল প্যান্ডেল হপিং বা ঠাকুর দেখা। এর সাথেই জড়িয়ে থাকে আবহাওয়ার অবস্থা। মহালয়া পেরিয়ে পুজোর দিনগুলো আসতে না আসতেই সবার মনেই ইচ্ছা ঠাকুর দেখতে বেরোনোর। অনেক সরকারি অনেক দফতরেই আগে থেকে ছুটিও পরে গিয়েছে। তাই অনেকেই ভাবছেন “আগামীকালের আবহাওয়া কেমন থাকবে?” বিশেষ করে দক্ষিণবঙ্গে আবহাওয়ার পূর্বাভাস নিয়ে আগ্রহ সবসময় থাকে তুঙ্গে। পুজোর মেজাজটা আরও আনন্দময় করতে আকাশ কি থাকবে ঝকঝকে রোদ্দুর, নাকি মেঘের আড়ালে লুকিয়ে থাকবে বৃষ্টি?
নিম্নচাপের প্রভাবে চলতি সপ্তাহের আবহাওয়া
যেমনটা জানা যাচ্ছে, বর্তমানে উত্তর বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে। এই নিম্নচাপের কারণে বাংলার আকাশে মেঘের সঞ্চার ঘটছে। বিশেষ করে উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টি শুরু হয়েছে। আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, আগামী কয়েকদিন এই প্রভাব বজায় থাকবে। তবে চিন্তার কিছু নেই, কারণ পুজোর মূল দিনগুলোতে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।
আগামীকালের আবহাওয়া
নিম্নচাপের প্রভাবে আগামীকালও বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে। বিশেষ করে কলকাতায় আকাশ মেঘাচ্ছন্নই থাকবে সারাদিন। সাথে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভবনা। এছাড়া বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণও থাকবে অনেকটাই বেশি যার জেরে আদ্রতা জনিত অস্বস্তিও বেশ ভালো বোঝা যাবে।
দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়ার পূর্বাভাস
শনিবারের জন্য আবহাওয়া দফতরের আপডেট অনুযায়ী, দক্ষিণবঙ্গের আকাশ থাকবে মেঘাচ্ছন্ন। তবে মাঝে মাঝে রোদ ঝলমল করবে। বেশ কিছু জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বর্ষণের সম্ভাবনা থাকছে। বিশেষ করে, কলকাতা, হুগলি, দুই ২৪ পরগণা, বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম এবং নদিয়ায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ মাঝারি বা একটু ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া কেমন থাকবে?
পুজোর সময় যারা দার্জিলিং বা কালিম্পং-এর মতো পাহাড়ি জায়গায় ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন, তাদের জন্য কিছুটা বৃষ্টির সতর্কতা রইল। রবিবার থেকে উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির পরিমাণ কিছুটা কমলেও দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং ও আলিপুরদুয়ারে বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষ করে, দুপুরের দিকে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি হতে পারে। তবে বৃষ্টির কারণে কোনো বড় ধরনের দুর্যোগের আশঙ্কা নেই, তাই পর্যটকরা নিশ্চিন্তে ঘুরতে যেতে পারেন।
পুজোর দিনগুলোতে আবহাওয়ার
হাওয়া অফিসের মতে, পুজোর দিনগুলোতে দক্ষিণবঙ্গে একটানা বৃষ্টির সম্ভাবনা কম। তবে আর্দ্রতার কারণে কিছুটা অস্বস্তি থাকতে পারে। বিশেষ করে বৃষ্টির বিরতি থাকলেও গরম কিন্তু উঁকি দেবে মাঝে মধ্যেই। তাই যাঁরা ঠাকুর দেখতে বেরোবেন, তাঁরা সতর্ক থাকলেই ভালো। আরও ভালো করে বলতে গেলে ব্যাকআপ হিসাবে বাগে একটি ছোট ছাতা রেখে দিতেই পারেন।