পার্থ মান্নাঃ রাজ্যে দুর্গাপুজোর কার্নিভালের পাশাপাশি দ্রোহ কার্নিভালের ডাক দিয়েছিল চিকিৎসক সংগঠন জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টরস। যদিও তার অনুমতি মেলেনি পুলিশের তরফ থেকে। তাই নিষেধাজ্ঞাকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ডাক্তারের। আজ অর্থাৎ মঙ্গলবারই ছিল সেই মামলার শুনানি। এদিনের শুনানিতে কি হল? জানতে আজকের প্রতিবেদনটি সম্পূর্ণ পড়ুন।
কলকাতা হাইকোর্টে ‘দ্রোহ কার্নিভাল’ মামলা
আরজি কর ঘটনার প্রতিবাদের জল অনেকদূর পর্যন্ত গড়িয়েছে। ইতিমধ্যেই তদন্ত চলছে বেশ কিছুজন অ্যারেস্টও হয়েছেন। তবে এবার নিজেদের দাবি নিয়ে অনশনে বসেছেন জুনিয়ার ডাক্তারেরা। তারই মাঝে পুজোর কার্নিভালের পাশাপাশি দ্রোহের কার্নিভালের ডাক দেওয়া হয়েছিল ডাক্তারদের তরফ থেকেই। কিন্তু সেটা রোখার জন্য ধর্মতলা, রানী রাসমণি রোড, মেয়ো রোড ও ডরিনা ক্রসিং থেকে শুরু করে কলকাতার একাধিক জায়গায় জমায়েত নিষিদ্ধ ঘোষণা করে কলকাতা পুলিশ।
পুলিশের এই পদক্ষেপকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মামলা হয় কলকাতা হাইকোর্টে। মূলত ইমেলের মাধ্যমে প্রধানবিচারপতিকে এই ঘটনার কথা জানায় জুনিয়ার ডাক্তারেরা তারপর ইমেলের ভিত্তিতেই ১৬৩ ধারা অনুযায়ী মামলার অনুমতি মেলে প্রধানবিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের তরফ থেকে। শুনানির জন্য গঠিত হয় অবকাশকালীন বেঞ্চ।
কোনো বাঁধা নেই, হচ্ছে ডাক্তারদের দ্রোহ কার্নিভাল
আজ অর্থাৎ মঙ্গলবারই মামলার শুনানি হয়। যেখানে শুনানির দায়িত্ব নেন বিচারপতি রবি কিষান কাপুর। ডাক্তারদের বক্তব্য, শাসক বিরোধিতার কন্ঠরোধের চেষ্টা করবেই। কিন্তু তাতে তো কর্মসূচি বন্ধ থাকতে পারে না। এদিকে মঙ্গলবার সকাল থেকেই ধর্মতলার বিস্তীর্ণ এলাকা ব্যারিকেড করে দিয়েছে পুলিশ। পুলিশের দাবি ছিল, একইদিনে যদি দুটি কর্মসূচি হয় তাহলে অশান্তি হতে পারে।
তবে এদিনের শুনানিতে ঝামা ঘষে গেল রাজ্য সরকারের মুখেই। দ্রোহ কার্নিভালের অনুমতি দেওয়ার পাশাপাশি বিচারপতি গোটা রাজ্যে পাইকারি হারে ১৬৩ ধারা জারি করা নিয়ে কার্যত ভর্ৎসনা করেন কলকাতা পুলিশকে। এভাবে ১৬৩ ধারা জারি করা যায় না বলে সাফ জানিয়ে দেয় হাইকোর্ট। একইসাথে দুটো কার্নিভাল নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা কি রাজ্যের নেই? বলে প্রশ্ন তোলেন খোদ বিচারপতি। এরপর ব্যারিকেড খুলে দেওয়ার নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট।