পার্থ মান্নাঃ দ্য বং গাই, নামটা ছোট থেকে বড় সকলেরই কাছেই বেশ পরিচিত। হ্যাঁ বাংলার জনপ্রিয় ইউটিউব ক্রিয়েটর কিরণ দত্ত ওরফে বং গাইয়ের কথাই বলছি। বর্তমানে ৪০ লক্ষেরও বেশি সাবস্ক্রাইবার রয়েছে তাঁর। আর বাস্তবে ভক্তের সংখ্যাটা আরও বেশি। সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম ইউটিউবের দৌলতেই আজ বিশ্ব বিখ্যাত হয়েছেন তিনি।
ফোর্বসে নাম দ্য বং গাই কিরণের
মূলত রোস্ট ভিডিও বানিয়ে জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন দ্য বং গাই। তবে সম্প্রতিকালে ঘটে যাওয়া আরজি কর ঘটনার প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে জাস্টিসের দাবি করতে দেখা গিয়েছে তাকে। তিলোত্তমার সাথে হওয়া অন্যায়ের বিচার চাইতেও পিছপা হননি তিনি। তাই অনেকেই তাকে ‘বাস্তবের হিরো’ বলেও আখ্যা দিয়েছেন। আর এবার সত্যি সত্যিই বিশ্ব বিখ্যাত হয়ে গেলেন কিরণ দত্ত। কিভাবে? উত্তর হল ফোর্বসের তালিকায় নাম উঠল দ্য বং গাইয়ের।
হ্যাঁ ঠিকই দেখছেন ভারতের সেরা ১০০ ক্রিয়েটারের মধ্যে দশম স্থানে রয়েছেন তিনি। মাত্র ২৯ বছর বয়সেই তাঁর প্রতিটি ভিডিওতে গড়ে ১৮ লক্ষ ভিউ রয়েছে। বুঝতেই পারছেন ভাইরাল হওয়া তাঁর বাঁ হাতের খেল। সম্প্রতি নিজের ইনস্টাগ্রামে ফোর্বসে নাম ওঠার আর্টিকেলের স্ক্রিনশট শেয়ার করেছেন দ্য বং গাই।
ইনস্টাগ্রামে খুশির খবর শেয়ার বং গাইয়ের
স্ক্রীনশটের সাথে লিখেছেন, ‘বাপের জন্ম কল্পনাও করিনি ফোর্বসে নিজের ছবি দেখতে পাব…. আর সেরা ১০০ ডিজিট্যাল স্টারদের মধ্যে ১০ নম্বরে থকাার কথা তো ছেড়ে দাও।’ অবশ্য এখানেই শেষ নয়। এরপর এক শিক্ষকের কথাও জানান তিনি।
কিরণ লেখেন, ‘আজ আমার এক শিক্ষকের কথা বদ মনে পড়ছে, যে বলেছিল জীবনে আমি কিচ্ছু করতে পারব না। আমি এতটাই অদ্ভুত যে বাড়ি এসেই এই আমি পারব কথাটা ১০০০ বার লিখেছিলাম আর কেঁদেছিলাম। কারণ মেয়েদের সামনে অপমান করেছিল স্যার। কেন আজ হটাৎ মনে পড়ল জানি না। তবে ভেতরের শিশু মনটা চিৎকার করে বলছে পারলাম তো? ভাইজের অসংখ্য ধন্যবাদ। বড় স্বপ্ন দেখো, আমার মত সাধারণ একজনের স্বপ্ন পুরো হলে তোমাদের সবারও হবে, ধন্যবাদ’।
View this post on Instagram
প্রসঙ্গত, ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র ছিলেন কিরণ। ২০১৫ সালে ইউটিউবে দুটো ভিডিও আপলোড করেছিলেন তিনি। দুবছরপর সবার নজরে আসা। এরপর দিনরাত পরিশ্রম, নিজেই স্ক্রিপ্ট লেখা থেকে এডিটিং সবটাই করতেন। ‘এ কেমন সিনেমা’ এর দৌলতে ব্যাপক জনপ্রিয়তা বাড়ে দ্য বং গাইয়ের। তারপর ধীরে ধীরে আজ বাংলার সেরা ক্রিয়েটরদের মধ্যে অন্যতম নাম হয়ে উঠেছেন কিরণ দত্ত।