পার্থ মান্নাঃ দুর্গাপুজো শেষ হলেও উৎসবের শেষ হয়নি। আর কোটা দিন পেরোলেই কালীপুজো। কিন্তু এরই মাঝেই আবহাওয়ার ভোল পাল্টে গিয়েছে। ক্যালেন্ডারের পাতা শীতকাল আসন্ন জানালেও বাস্তবে সেটা বর্ষাকাল বলেই মনে হচ্ছে। এর কারণ হল ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’। কবে কোথায় আছড়ে পর্বে এই ঘূর্ণিঝড়? চলুন দেখে নেওয়া যাক মৌসম ভবন বা IMD এর আবহাওয়ার পূর্বাভাস।
IMD এর রিপোর্ট বলছে বাংলা ও ওড়িশার উপকূলের কাছেই আছড়ে পর্বেদনা। আগামী ২৪ শে অক্টোবর হতে পারে ল্যান্ডফল। যার জেরে উপকুলের জেলাগুলিতে আগে থেকেই সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
বাংলার দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’
বর্তমানে বঙ্গোপসাগরে যে সিস্টেম তৈরী হয়েছে তা শীঘ্রই ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। সেই ঘূর্ণিঝড়েরই নামকরণ করা হয়েছে দানা। একাধিক বেসরকারি ও বিদেশ আবহাওয়া দফতরের খবর অনুযায়ী ওড়িশার উপকূলের কাছে ল্যান্ডফল হবে দানার। সেই সময় গতি থাকতে পারে ১৫০ কিমি প্রতিঘন্টা। তবে যদি গতিপথ পাল্টে যায় তাহলে বাংলাদেশ বা মায়ানমারের দিকে চলে যাবে সিস্টেমটি। সেক্ষেত্রে গতিবেগ কমে ১০০ কিমি প্রতি ঘন্টা হয়ে যাবে।
ঘূর্ণিঝড়ের জেরে বৃষ্টির আশঙ্কা
এমনিতেই নিম্নচাপের জেরে বাংলার একাধিক জেলায় বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। কলকাতা সহ দক্ষিণের একাধিক জেলা সহ উত্তরে দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হচ্ছে। আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে দক্ষিণ পশ্চিম ও পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে তৈরী হয়েছে আরেকটি ঘূর্ণাবর্ত। সব মিলিয়ে একাধিক ঘূর্ণাবর্ত ও নিম্নচাপ বলয় তৈরী হচ্ছে যার জেরে আগামী কয়েকদিন বৃষ্টির পরিমাণ বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আগামী ২৩ ও ২৪ অক্টোবর বা বুধ ও বৃহস্পতিবার থেকেই দক্ষিণে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলায় সবচেয়ে বেশি বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে। এদিকে উত্তরে এই মুহূর্তে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস না থাকলেও দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি ও কালিম্পঙ জেলায় হালকা বৃষ্টি হবে বলে মনে করা হচ্ছে।