পার্থ মান্নাঃ আজ সকালেই ঘূর্ণিঝড় হিসাবে ওড়িশার উপকূলে আছড়ে পড়েছে ঘূর্ণিঝড় দানা। আবহাওয়া দফতরের খবর অনুযায়ী সকাল ৭টা বেজে ৩০ মিনিট নাগাদ ল্যান্ডফল পক্রিয়া শেষ হয়েছে। যার জেরে সকাল থেকেই মুষলধারে বৃষ্টি হয়ে চলেছে পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণের একাধিক জেলা থেকে শুরু করে ওড়িশায়। একইসাথে ৭০-১১০ কিমি পর্যন্ত বেগে চলছে ঝোড়ো হাওয়া ও বজ্রপাত।
‘দানা’র পরিস্থিতিতে নজর রাখতে নবান্নের কন্ট্রোল রুমে মুখ্যমন্ত্রী
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব সবচেয়ে বেশি পর্বে উপকূলের জেলাগুলিতে সেটা আগে থেকেই সতর্ক করে দেওয়া হয়েছিল। যার জেরে আগে থেকেই দিঘা, মন্দারমণি থেকে পর্যটকদের সরিয়ে নেওয়ার কাজ চলছিল। এছাড়াও সম্পূর্ণ পরিস্থিতির উপর নজর রাখতে নবান্নে চালু করা হয়েছিল কন্ট্রোল রুম। যেখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই সারারাত জেগেছিলেন। তবে স্বস্তির খবর এটাই যে দানার ভয়ঙ্কর প্রভাব সেভাবে দেখা যায়নি। দক্ষিণ ২৪ পরগণা থেকে শুরু করে পূর্ব মেদিনীপুর ও পশ্চিম মেদিনীপুরে ভারী বৃষ্টি শুরু হলেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর মেলেনি।
কতটা ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা বাংলায়?
মৌসম ভবনের শেষপাওয়া আপডেট অনুযায়ী আজ সারাদিনই দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি চলবে। বিশেষ করে উপকূলের জেলা যেমন দক্ষিণ ২৪ পরগণা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম জেলায় ঝোড়ো হাওয়া সহ অতিভারী বৃষ্টির জেরে ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। হাওয়া অফিসের তরফ থেকে লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে এই জেলাগুলিতে। তবে পুলিশ প্রশাসন থেকে শুরু করে উদ্ধারকারী দল প্রস্তুর রয়েছে পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য। এদিকে ওড়িশার ভুবনেশ্বর ও হলদিয়াতে ব্যাপক বৃষ্টি হয়েছে। বিগত ২৪ ঘন্টায় ভুবনেশ্বরে ২০.৪ মিমিমিটার ও হলদিয়াতে ৬৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
ট্রেন ও ফেরি সার্ভিস বাতিল
দুর্যোগের জেরে গতকাল রাত্রি থেকেই শতাধিক ট্রেন বাতিল করা হয়েছিল হাওড়া ও শিয়ালদহ শাখায়। তবে সকালে হলে বেলা বাড়ার সাথে সাথে ট্রেন পরিষেবা চালু হয়ে গিয়েছে। যদিও ফেরি পরিষেবা এখনও বন্ধ রাখা হয়েছে। সুন্দরবন অঞ্চলের একাধিক ফেরি সার্ভিস বন্ধ রয়েছে। যেমন গদখালী, গোসাবা, দয়াপুর, ঝড়খালি থেকে শঙ্করপুর এলাকার ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। এদিকে হাওড়া স্টেশন থেকে ট্রেন চলা শুরু হলেও রাস্তায় বাসের সংখ্যা অন্যদিনের তুলনায় কম।