পার্থ মান্নাঃ শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় উত্তাল হয়েছিল রাজ্য রাজনীতি। ২০১৬ সালের চাকরির গোটা প্যানেল বাতিল হওয়াতে চাকরি হারিয়েছিলেন ২৬০০০ শিক্ষকেরা। তবে সুপ্রিমকোর্টের দ্বারস্থ হয়ে সেই রায়ে আপাতত স্থগিতাদেশ জারি করা হয়েছে। তবে এবার জানা যাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের মত আরও এক রাজ্যে শিক্ষকদের চাকরিতে চরম দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। যার ফলে চাকরি হারাতে পারেন ২৪০০০ এর মত শিক্ষকেরা।
আবারও শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি!
এতদিনে ধরে পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতি নিয়ে রাজ্য থেকে দেশজুড়ে শিরোনাম তৈরী হয়েছিল। তবে এবার জানা যাচ্ছে বিহারেও নিয়োগের ক্ষেত্রে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। কোথাও মোটা টাকা দিয়ে তো কোথাও জাল সার্টিফিকেট বা ডিগ্রি দেখিয়ে চাকরিতে ঢুকে গিয়েছেন অযোগ্যপ্রার্থীরা। তাই এবার সেখানেও আদালতের দ্বারস্থ যোগ্য চাকরিপ্রার্থীরা।
ভেরিফিকেশন ছাড়াই নিয়োগ চাকরিক্ষেত্রে!
গতবছর বিহারে ১-১৩ ডিসেম্বর শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষায় পাশ করা প্রার্থীদের কাউন্সেলিংয়ের জন্য ডাকা হয়েছিল। যেখানে পাশ করলেও ৪২০০০ পার্র্থীরা ডাক পাননি, আর যাদের ডাকা হয়েছিল তাদের মধ্যেও নাকি ৩০০০ প্রার্থীরা অনুপস্থিত ছিলেন। এদিকে জানা যাচ্ছে ১০,০০০ শিক্ষকের নিয়োগ হয়ে গিয়েছে। তাও আবার কোনো রকমের বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশন ছাড়াই। যাঁরা নিয়োগ পেয়েছেন তাদের অধিকাংশেরই পড়ানোর মত যোগ্যতাই নেই, এমনটাই অভিযোগ চাকরিপ্রার্থীদের।
শিক্ষক নিয়োগের এই দুর্নীতি সামনে আসার পরে স্বভাবিকভাবেই উত্তেজনামূলক পরিস্থিতি তৈরী হয়েছে। স্থানীয় নীতিশ কুমারের সরকারও চাপের মুখে পড়ে গিয়েছে আর যার চাকরি পেয়েছিলেলন তারা যে কোনো সময় চাকরির হারানোর ভয়ে ভুগছেন।
প্রসঙ্গত, এই পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে বিহার সরকার। ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরুর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আদালতের তরফ থেকে। অন্যদিকে প্রশাসন জানাচ্ছে, গতঃকোর যে সমস্ত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া প্রার্থীদের কাউন্সিলিংয়ের জন্য ডাকা হয়নি তাদের পুনরায় কাউন্সেলিং করা হবে। বর্তমানে ছট পুজোর কারণে এই পক্রিয়া স্থগিত আছে, উৎসব শেষ হলেই নতুন করে কাউন্সেলিং শুরু করা হবে।