পার্থ মান্নাঃ একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর সরকারি স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনার উন্নতির জন্য সরকারের তরফ থেকে ট্যাব কেনার টাকা দেওয়া হয়। তবে এবছর ট্যাবের টাকা দেয়া নিয়ে একাধিকবার নানান অভিযোগ উঠেছে। শিক্ষক দিবসে টাকা ঢোকার কথা থাকলেও সেটা হয়নি এরপর পুজোর পেরিয়ে গিয়ে টাকা ঢোকা শুরু হলেও সেখানেও বিপত্তি। জানা যাচ্ছে, প্রায় কয়েক হাজার শিক্ষার্থীর টাকা ঢুকেছে অন্য অ্যাকাউন্টে। মাঝে সরকারি পোর্টাল হ্যাক হওয়ার খবরও প্রকাশ্যে আসে।
উধাও সরকারি প্রকল্পের ট্যাবের টাকা!
শেষ পর্যন্ত থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী রাজ্যের একাধিক জেলায় ভুল অ্যাকাউন্টে টাকা ঢোকার ঘটনা সামনে এসেছে। কোথাও ছাত্রছাত্রীরা টাকা পাওয়ার দাবিতে স্কুলে ধর্ণা দিয়েছে তো কোথাও বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এরই মাঝে জানা গেল শুধুমাত্র পূর্ব বর্ধমানের ১৪ টি স্কুলে ১০০০ শিক্ষার্থীর টাকা অন্য অ্যাকাউন্টে চলে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই তার ভিত্তিতে পুলিশে অভিযোগ জানানো হয়েছেও তদন্ত শুরু হয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন হল এভাবে মোট কত টাকা উধাও হয়েছে বা ভুল অ্যাকাউন্টে চলে গিয়েছে?
ভুল অ্যাকাউন্টে সরকারের ২০কোটি টাকা
সূত্রমতে জানা যাচ্ছে, প্রায় ২০ কোটি টাকা ছাত্রছাত্রীদের অ্যাকাউন্টে যাবার বদলে অন্যত্র ট্রান্সফার হয়েছে। অর্থাৎ ১০,০০০ টাকা করে দেওয়ার হিসাবে প্রায় ২০,০০০ পড়ুয়াদের টাকা উধাও! বর্ধমানের সিএমএস হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কাছে এই ঘটনা প্রথমে নজরে আসায় তিনি থানায় অভিযোগ করেন। এরপর দীপাবলির ছুটির পর স্কুল খুলতেই জানা যায় বর্ধমানের একাধিক বিদ্যালয়ে একই রকম হয়েছে।
এই প্রসঙ্গে, জেলার বিদ্যালয় পরিদর্শক বৃন্দাবন মিত্র জানাচ্ছেন, ‘বিভিন্ন স্কুল থেকেই একই ধরণের অভিযোগ আসছে। সমস্ত ব্যাপারটা সাইবার শাখায় জানানো হয়েছে। প্রশাসন এই বিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। তবে মোট কত স্কুলে কতজন পড়ুয়াদের টাকা অন্যত্র চলে গিয়েছে সেটা এখনই সঠিকভাবে বলা যাচ্ছে না। সাইবার প্রতারণার ঘটনা যেমন ঘটতে পারে তেমনি দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকদের ডেটা এন্ট্রিতেও ভুল হয়ে থাকতে পারে। তদন্ত শেষ হলেই সবটা পরিষ্কার হয়ে যাবে’।