পার্থ মান্নাঃ নভেম্বর মাস পড়তেই ধীরে ধীরে বাংলায় উত্তুরে হাওয়া ঢুকতে শুরু করেছে। বিগত কয়েকদিনে তাপমাত্রাও কমেছে কয়েক ডিগ্রি যার জেরে রাতের দিকে গায়ে চাপা দিতে হচ্ছে কমবেশি সকলকেই। তবে পশ্চিমি ঝঞ্ঝা আর বঙ্গোপসাগরে নতুন করে নিম্নচাপ তৈরী হওয়ার জেরে ঠান্ডা সেভাবে প্রবেশ করতে পারছে না। তবে কি ফের বৃষ্টি নামবে বাংলায়? চলুন দেখে নেওয়া যাক কি বলছে মৌসম ভবন বা IMD।
হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী আন্দামান সাগর ও উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় একটি নিম্নচাপ বলয় তৈরী হয়েছে যেটা পরবর্তীকালে ঘূর্ণাবর্তে পরিণত হতে পারে। তবে না হওয়ারও সম্ভাবনা আছে। তাই সিস্টেমটির উপর নজর রাখা হবে। আগামীদিনে নিম্নচাপের শক্তি বাড়তে শুরু করলে সেই অনুযায়ী সতর্কতা জারি করা হবে। আপাতত ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত শুষ্ক আবহাওয়া বজায় থাকবে। তবে ১০ তারিখ অর্থাৎ রবিবার উপকূলের অঞ্চলগুলিতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভনা থাকছে।
আগামীকালের আবহাওয়া
শনিবার কলকাতার আকাশ পরিষ্কার থাকবে বলেই পূর্বাভাস মিলেছে। আকাশে অল্প বিস্তর মেঘের দেখা মিলতে পারে তবে বৃষ্টির কোনো সম্ভাবনাই নেই বলে জানিয়ে দিয়েছে মৌসম ভবন। আগামীকাল কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে থাকবে। তবে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ৫২% থেকে ৮১% পর্যন্ত থাকতে পারে।
দক্ষিণবঙ্গের আগামীকালের আবহাওয়া
৯ই নভেম্বর শনিবার দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া শুষ্ক প্রকৃতিরই থাকবে বলে জানাচ্ছে আবহাওয়াও দফতর। সকালে হালকা কুয়াশা থাকলেও বেলা বাড়তেই রোদের দেখা মিলবে। বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ তৈরির পরিস্থিতি তৈরী হয়েছে ঠিকই, তবে দক্ষিণের কোনো জেলাতেই বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। তবে
উত্তরবঙ্গের আগামীকালের আবহাওয়া
দক্ষিণের মত উত্তরবঙ্গের জেলাগুলোতেও শুষ্ক আবহাওয়া বজায় থাকবে। দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি থেকে কালিম্পঙ, কোচবিহার ও অলিপুরুদুয়ার কোনো জেলাতেই বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। তবে নভেম্বর মাসের এক সপ্তাহ কেটে গেলেও পাহাড়ের তাপমাত্রা খুব একটা কমেনি। আশা করা হচ্ছে ডিসেম্বর মাসের শুরু থেকেই তাপমাত্রা কমতে শুরু করবে।