পার্থ মান্নাঃ কেন্দ্রীয় সরকারের DA বৃদ্ধির ঘোষণা আসার পর থেকেই রাজ্য সরকারের কর্মীদের মহার্ঘ ভাতার দাবি আরও জোরালো হয়েছে। তবে এরই মাঝে আচমকাই আলোচনায় বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বান্ধোপাধ্যায়ের বেতন ও ভাতা। সাধারণত রাজ্যের বিধানসভার তরফ থেকেই মুখ্যমন্ত্রীর বেতন নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। একইসাথে একাধিক সরকারি সুবিধাও মেলে। তাহলে মুখ্যমন্ত্রীর বেতন কত? চলুন জেনে নেওয়া যাক আজকের প্রতিবেদনে।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর বেতন
বর্তমানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বেতন বাবদ এক টাকাও নেন না। তবে ২০১৯ সালের হিসাব অনুযায়ী তাঁর বেতন ছিল ১,১৭,০০১ টাকা। যার মধ্যে ২৭০০১ টাকা মূল ভাতা ও মহার্ঘ ভাতা হিসাবে মেলে ৯০,০০০ টাকা। ২০১৯ সালেই শেষবার মুখ্যমন্ত্রীর মাইনে বৃদ্ধি করা হয়েছিল বলেও জানা যাচ্ছে। জানা যাচ্ছে নিজের বই বিক্রির রয়ালটি হিসাবে যে টাকা পান সেটাই নাকি যথেষ্ট।
বাড়ানো হয়েছে মন্ত্রী ও বিধায়কদের বেতন
মুখ্যমন্ত্রীর বেতনের বৃদ্ধি না হলেও গতবছরই বাংলার মন্ত্রী থেকে বিধায়কদের ভাতা বাড়ানো হয়েছে। শেষ পাওয়া আপডেট অনুযায়ী ২০১৯ সালে রাজ্যের মন্ত্রীদের বেতন ৮২,০০০ থেকে বেড়ে ১ লক্ষ ১২ হাজার টাকা করে দেয়া হয়েছে। যার মধ্যে DA বাবদ মেলে ৯০,০০০ টাকা। এদিকে প্রতিমন্ত্রীদের বেতন ১ লক্ষ ১১ হাজার ৯০০ টাকা। যার মধ্যে ৬০০০০ টাকা হল ভাতা। এছাড়া বিধায়কদের মাসিক বেতন ৮১,৮৭০ টাকা।
২০১৯ সালেই বিধানসবার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রীর বেতন বাড়ানোর কথা জানান। তাঁর মতে, ‘সবার বেতন বাড়ানো হচ্ছে, কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর বেতন বাড়ানো হচ্ছে না। আমরা জানি যে আপনি বেতন নেন না। কিন্তু ভবিষ্যতের কথা ভেবে সেটা বাড়ানো উচিত। সেই কারণেই ভাতা বৃদ্ধির অনুরোধ’। যদিও এই প্রস্তাবের পরেও ভাতা বৃদ্ধি করা হয়নি।
প্রসঙ্গত, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বেতন না নিলেও দেশের একাধিক রাজ্যে লক্ষাধিক টাকা বেতন পান মুখ্যমন্ত্রীরা। উদাহরণস্বরূপ উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ৩.৫ লক্ষ টাকারও বেশি বেতন পান। একইভাবে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী ৩.৯ টাকা ও তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী ৪.১ লক্ষ টাকা বেতন পান বলে জানা যাচ্ছে।