পার্থ মান্নাঃ বাংলার আবাস যোজনা নিয়ে রীতিমত ক্ষুদ্ধ আমজনতা। একদিকে প্রভাব খাটিয়ে তালিকায় নাম তোলার অভিযোগ উঠছে, তো অন্যদিকে যোগ্যদের নাম বাতিল হওয়ায় বিক্ষোভ দেখা যাচ্ছে গ্রামে গ্রামে। এমতাবস্থায় নতুন করে সমীক্ষার জন্য ১১ দফার নির্দেশিকা জারি করে কাজ শুরু করা হয়েছে। কি বলা হয়েছে সেই নির্দেশিকায়? জানতে হলে আজকের প্রতিবেদনটি সম্পূর্ণ পড়ুন।
আবাস যোজনার জন্য জারি ১১ দফার নির্দেশিকা
সরকারি আবাস যোজনার নাম নিয়ে মানুষের মধ্যে বিক্ষোভ বেড়েই চলেছে। বেশ কিছু জায়গা থেকে অশান্তির খবরও মিলেছে। তাই প্রথমেই মানুষকে বোঝাতে হবে যে নতুন করে কোনো নাম নেওয়া হচ্ছে না। বরং যারা ২০২২ সালে আবেদন করেছিলেন তাদের নাম যাচাই করা হচ্ছে।
বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের দেওয়া হবে সরকারি বাড়ি
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই জানিয়েছেন আবাস যোজনার বাড়ি থেকে কোনো দরিদ্র ও যোগ্য মানুষ যাতে বাদ না পরে সে বিষয়ে নজর রাখতে হবে। একইসাথে বাড়ি দেওয়ার ব্যাপারে মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি নিতে হবে। তাই পঞ্চায়েতদফতরের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, যারা বন্যা বা দানার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের এই প্রকল্পে বাড়ির টাকা দেওয়া হবে। তবে সেক্ষেত্রে প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা দফতরের নির্দেশিকা মানতে হবে।
যাদের নাম ইতিমধ্যেই তালিকায় রয়েছে তাদের সমীক্ষা করা হবে। এক্ষেত্রে সশরীরে গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রতিনিধিদের হাজির থাকতে হবে সমীক্ষার লোকেদের সাথে। এদিকে পঞ্চায়েত সচিব জানাচ্ছেন, নবান্নের নির্দেশ অনুযায়ী, ফাইনাল লিস্ট প্রকাশ করার আগে প্রতিটি নাম নিখুঁতভাবে যাচাই করতে হবে।
নাম যাচাইয়ের পাশাপাশি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নাম্বার সঠিক আছে কি না তাও দেখতে হবে। সমীক্ষার প্রমান হিসাবে ছবি ও ভিডিও আপলোড করতে হবে সরকারি পোর্টালে। যেটা পরবর্তীকালে প্রয়োজন হলে ভেরিফাই করা যাবে। আগামী ১৩ই ডিসেম্বর পর্যন্ত সমীক্ষার কাজ চলে বলে জানা গিয়েছে। এরপর ২০ই ডিসেম্বর থেকে আবাস যোজনার টাকা দেওয়া শুরু হতে পারে।