পার্থ মান্নাঃ ছাত্র আন্দোলনের জেরে পাল্টে গিয়েছে দেশের সরকার। বর্তমানে বাংলাদেশ চালনার দায়িত্বে রয়েছে মুহাম্মদ ইউনুসের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে ও অর্থনীতিকে পুনরায় চাঙ্গা করে তোলার জন্য একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। তবে তাতে সুফল খুব একটা চোখে পড়ছে না। কারণ বিশ্ব বাজারে বাংলাদেশের টাকার দাম নিম্নমুখী। যতদিন যাচ্ছে ততই আরও দুর্বল হচ্ছে বাংলাদেশী টাকা।
বাংলাদেশী টাকার দামে ভারী পতন
বাংলাদেশ থেকে বহু মানুষ প্রতিবছরই ভারতবর্ষে আসেন। কেউ চিকিৎসার জন্য তো কেউ বা আসেন ব্যবসার কাজে। এক্ষেত্রে ভারতে আসার আগে মানি এক্সচেঞ্জ থেকে টাকা পাল্টাতে হয়। বিশ্ব বাজারে বাংলাদেশী টাকার দাম পড়তে থাকায় ভারতের টাকার তুলনায় মূল্য অনেকটাই কমজোর হয়ে গিয়েছে। এতটাই কমে গিয়েছে যে এবার সেটা চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ভারতের ১০০ টাকা বাংলাদেশের কত?
গতমাসে অর্থাৎ অক্টোবরে ভারতের ১ টাকা এর মূল ছিল বাংলাদেশী তাকে ১ টাকা ৪০ পয়সা। কিন্তু এবার সেটা আরও কমে গিয়েছে। বর্তমানে ভারতের ১ টাকা সমান বাংলাদেশের ১ টাকা ৪২ পয়সা হয়ে গিয়েছে। অর্থাৎ ভারতের ১০০ টাকা বাংলাদেশের ১৪২ টাকার সমান।
এদিকে ডলারে নিরিখেও বাংলাদেশী টাকার দাম পড়েছে অনেকটাই। বর্তমানে ১ ইউএসডি এর জন্য ১১৯.৫৪ টাকা খরচ করতে হচ্ছে বাংলা দেশের মানুষকে। যার ফলে অন্য দেশ থেকে পণ্য আমদানি করার ক্ষেত্রেও খরচ বাড়ছে।
আরও ‘গরিব’ হচ্ছে বাংলাদেশ!
যে কোনো দেশের মুদ্রার উপরে তার অর্থনীতি দাঁড়িয়ে থাকে। তাছাড়া দেশের মানুষের জন্য অত্যাবশকীয় পণ্য আমদানির জন্যও বিদেশী মুদ্রার প্রয়োজন হয়। এমতাবস্তায় বাংলাদেশের টাকার দাম ক্রমশ পড়তে থাকায় আমদানির জন্য খরচ বেড়েই চলেছে। যেটা অর্থনীতির জন্য মোটেই ভালো ইঙ্গিত হয়। তাই পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য আগামীদিনে ইউনুস সরকার কি পদক্ষেপ গ্রহণ করেন সেটাই দেখার বিষয়ই।