পার্থ মান্নাঃ ফিরল বছর দুয়ে আগের স্মৃতি, কলকাতার এক ফ্লাট থেকে উদ্ধার হল কোটি কোটি টাকা। হ্যাঁ ঠিক যেমনটি শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির ক্ষেত্রে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বান্ধবী অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছিল তেমনই। তবে এবার লটারি প্রতারণা সংক্রান্ত মামলায়। যা দেখে রীতিমত অবাক ইন্সফোর্সমেন্ট ডিরেক্টর বা ED কর্তারাও। এমনকি এত টাকা উদ্ধার হয়েছে যে সেটা গোনার জন্য ব্যাঙ্ক থেকে আলাদা করে মেশিন তুলে আনা হয়েছে।
কলকাতায় ফের উদ্ধার কোটি কোটি টাকা!
শুক্রবারেই আয়কর দফতরে বা ED এর তরফ থেকে কলকাতর লেক মার্কেটের প্রিন্স গোলাম মহম্মদ শাহ রোড ও আরও একটি জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালানো হয়েছিল। অভিযোগ ছিল লটারির মাধ্যমেই নাকি কোটি কোটি টাকার প্রতারণা চলছে। এমনকি প্রভাবশালীদের যোগ থাকার কথাও উঠে আসছিল। সেখানেই এক বহুতল আবাসনের ফ্লাট থেকে উদ্ধার হল কোটি কোটি টাকা। যা গোনার জন্য ব্যাঙ্ক থেকে আলাদা করে মেশিন আনতে হয়েছিল।
একাধিক জায়গায় একসাথেই চলল তল্লাশি
লটারি প্রতারণার অভিযোগ পেয়েই দিল্লি থেকে স্পেশাল তদন্তকারী দল এসে হাজির হয়েছিল। এরপর গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার লেক মার্কেট ও এয়ারপোর্ট সংলগ্ন এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালানো হয়। মাইকেল নগের একটি ক্লোতারি ছাপাখানা ও গুদামে তল্লাশি চালানো হয়েছিল। এরপর আজ শুক্রবার তল্লাশি অভিযানে বেরিয়েই উদ্ধার হল কোটি কোটি টাকা। তবে শুধুমাত্র কলকাতায় নয় একইসাথে ফরিদাবাদ, লুধিয়ানা, চেন্নাই থেকে কোয়েম্বাটুরেও রেড করেছে ED।
প্রসঙ্গত, লটারির মাধ্যমে প্রতারণার অভিযোগ এই প্রথম নয়। গতবছর অর্থাৎ ২০২৩ সালেও উত্তর ২৪ পরগনার একটি লটারি সংস্থার ছাপাখানা ও গুদামে ED আধিকারিকেরা তল্লাশি অভিযান চালিয়েছিল। অভিযোগ ছিল আসল পুরস্কার প্রাপকদের টাকা দেওয়ার বদলে কোটি কোটি টাকার প্রতারণা করা হচ্ছিল। এরপরেই তল্লাশি অভিযান চালানো হয়। বর্তমানে লটারি প্রতারণার জাল কতদূর পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে ও কারা এই বিআইনি চক্রের সাথে যুক্ত রয়েছেন তার তদন্ত চালাচ্ছে আয়কর দফতর।