শ্রী ভট্টাচার্য, কলকাতা: প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ যাত্রীকে গন্তব্যে পৌঁছে দেয় রেল। প্রতিটি যাত্রীর জীবনের দায়িত্ব বর্তায় লোকো পাইলটদের কাঁধে। সেখানে দঁড়িয়ে এই লোকো পাইলটদের অপর্যাপ্ত ব্যবহার একেবারেই মেনে নেওয়া যায় না। লোকো পাইলটের কিছু নিয়ম-কানুন মেনে চলতে হয়। সেই নিয়ম না মানলেও নয়। কিন্তু এতকিছুর মধ্যেই লোকো পাইলটদের বেপরোয়া দিকটি সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে। জানলে হুঁশ উড়ে যাবে।
সাধারণ যারা ট্রেন চালান, অর্থাৎ লোকো পাইলটদের বেশ কিছু বেসিক নিয়ম মানতে হয়। যেমন কেউ খাবার খেতে পারবেন না, বাথরুম ব্রেক নিতে পারবেন না, ডাবের জল খেতে পারবেন না, মদ্যপান করে ট্রেন চালাতে পারবেন না ইত্যাদি। কিন্তু সম্প্রতি লোকো পাইলটরা এমন নিয়মই ভঙ্গ করেছেন, যা ভয় দেখিয়ে বসেছে যাত্রীদের।
আরও পড়ুন: সরকারি ভলভো বাসে সস্তায় চলুন দিঘা-পুরী-তারাপীঠ! চালু হচ্ছে ৬টি রুট, ভাড়া কত?
বাংলায় আর রেল যাত্রীরা সুরক্ষিত তো?
সম্প্রতি এক আরটিআই জবাবে সামনে এসেছে বিস্তারিত তথ্য। পূর্ব রেলের ব্রেথ অ্যানালাইজার টেস্ট সংক্রান্ত এই রিপোর্ট দেখে ভয় ধরবে। ‘সাইন অফ’ ডিউটিতে ব্রেথ অ্যানালাইজার টেস্টে ব্যর্থ হয়েছেন পূর্ব রেলের মোট ৭৯ জন লোকও পাইলট। ‘সাইন অন’ ডিউটিতে ব্যর্থ হয়েছেন ১৯৩ জন। পূর্ব রেলের মোট চার ডিভিশন আসানসোল, হাওড়া, মালদহ টাউন এবং শিয়ালদহ চমক দিয়েছে রিপোর্টে। আরটিআইয়ের জবাব বলছে যে,
- বিগত দুই বছর ধরে ‘সাইন অফ’ এবং ‘সাইন অন’ ডিউটিতে ব্রেথ অ্যানালাইজার টেস্টে সবথেকে বেশি ব্যর্থ হয়েছে হাওড়া ডিভিশনে। এই সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ৪৯ এবং ১১১।
- ‘সাইন অফ’ ডিউটিতে ব্রেথ অ্যানালাইজার টেস্টে সবথেকে বেশি ব্যর্থ হয়েছে আসানসোল ডিভিশনে। এই সংখ্যা ছিল ৬, ‘সাইন অন’ ডিউটিতে আবার ৪০।
- এরপর মালদায় ৯, ‘সাইন অন’ ডিউটিতে ২৩ জন ধরা পড়েছেন।
- শিয়ালদায় ১৫, ‘সাইন অন’ ডিউটিতে ১৯ জন পড়েছেন।
ব্রেথ অ্যানালাইজার টেস্ট কী?
ব্রেথ অ্যানালাইজার টেস্ট হল কোনও মানুষ মদ্যপ কিনা বা তিনি কত শতাংশ মদ্যপ সে বিষয়ে জানার উপায়। আর এই রিপোর্টেই দেখা গিয়েছে, বাংলায় ২৭২ জনেরও বেশি লোকো পাইলট মদ্যপ অবস্থায় ট্রেন চালান। জানা গিয়েছে, ডিউটিতে থাকাকালীন মদ্যপান করেছেন বহু সংখ্যক।